ভ্যানগার্ড ডেস্ক
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার উগলছড়ি গ্রামে ৬ বছরের এক কন্যা শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে উগলছড়ি ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার জসিম উদ্দিনের বখাটে ছেলে জিয়াউর রহমান (সাগর ১৮)।
শিশুটি নিউলাইল্যা ঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
খবর আলোকিত রাঙ্গামাটির সৌজন্যে।
এ বিষয়ে শিশুটির মা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
শিশুটির মা অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগেও প্রতিবেশী জসিম উদ্দিনের বখাটে ছেলে জিয়াউর রহমান (সাগর) দোকানের পেছনে ডেকে নিয়ে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ও ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে তুলে নিয়ে ঘরে টেলিভিশন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ২ বার ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়ে কাওকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে শিশুটি মানসিক ও শারিরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিশুটি তার মাকে ঘটনা খুলে বললে গ্রাম্য ডাক্তার আজগর আলীকে মেয়ের জ্বর ও শরীর ব্যাথার কথা উল্লেখ করে মেয়েটির বাবা ঔষধ নিয়ে লোক লজ্জার ভয়ে ঘরেই চিকিৎসা করান।
শিশুটির মা ঘটনাটি ব্যাপারে বখাটে জিয়াউর রহমান সাগরের মা ও স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল হক তালুকদার কে জানালে বখাটে সাগর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। কাউন্সিলর ছেলের বাবাকে বিষয়টি অবগত করে বিচারের আশ্বাস দেয়, কিন্তু ছেলে পলাতক থাকায় এখনো বিচার হয়নি।
এদিকে শিশুটির মা বখাটের উপযুক্ত বিচারের জন্য আইনি সহায়তা চেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেল তথ্য সেবার জরুরী নাম্বার ১০৯ তে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনা জানালে নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বাঘাইছড়ি থানার ওসি আসরাফ উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
বাঘাইছড়ি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই থানার এসআই রানা বড়ুয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। বখাটে পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে ভিকটিমদের বক্তব্য শুনে তার পরিবার কে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি মোঃ আসরাফ উদ্দিন ঘটনার বিষয় শিকার করে বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি ও তদন্তও করেছি। ভিকটিমের পরিবার থানায় এসেছেন, আমরা শীর্ঘ্রই আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌর কাউন্সিলরকে সতর্ক করা হয়েছে ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। শিশুটির পরিবারকে আইনি সহায়তায় উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে শিশুটির মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মেয়ের নির্যাতনের বিষয়ে আমি উপযুক্ত আইনি সহায়তা ও বিচার না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।