ভ্যানগার্ড ডেস্ক
পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অং সান সু চি , প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট সহ বিভিন্ন প্রদেশের মূখ্য মন্ত্রীদের।
গত বছরের ০৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ৮৩% ভোট পেয়ে জয়লাভ করে সু চি’র এনএলডি। এদিকে এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন ধরে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, গুঞ্জনের মধ্যেই আজ সকালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলো।
সেনা অভ্যুত্থানের পর রাজধানী নেপিডো ও ইয়াঙ্গুন শহরসহ বিভিন্ন শহরে সেনা-পুলিশের টহল বেড়ে গিয়েছে। দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে দেশে ব্যাংক ও টেলিভিশন সম্প্রসারণ বন্ধ রয়েছে। দেশের জনগণ অভ্যুত্থানের পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আশংকা করে শুকনো খাবার ও বেশি বেশি খাবার মজুত করার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এলএনডি জানিয়েছে যে তাদের নেতা মিজ সু চি জনগণকে এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নেয়ার এবং প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশটিতে কোন বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। জানা যায় এক দল স্বঘোষিত ‘জাতীয়তাবাদী অ্যাক্টিভিস্ট’কে শহরে উল্লাস করতে দেখা গেছে এই অভ্যুত্থানের সমর্থনে।
সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অংলাইংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ফিরে এসে আলোচনার মাধ্যমে দেশের আভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সু চি, প্রেসিডেন্টসহ আটককৃত সকলকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসি জানাচ্ছে যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এগুলো হল: ১. নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং নিয়মানুযায়ী ভোটার তালিকা তদন্ত এবং পর্যালোচনা করা হবে; ২. কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সামরিক সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করা হবে; ৩. দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কাজ করে যাবে সেনাবাহিনী; এবং ৪. জরুরি অবস্থা শেষে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে সেনাবাহিনী।