সিএইচটি ভ্যানগার্ড, মহালছড়ি
“প্রগতিশীল চিন্তাধারা লালন করে বিপ্লব সাধনের উদ্দেশ্যে ছাত্র ও যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ হোন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) মহালছড়ি থানা শাখার ১১তম সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। আজ (২৭ জানুয়ারি ২০২৩) সকাল ১০ ঘটিকার সময় মহালছড়ির মনাটেকস্থ একটি হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে ছাত্র নেতা শ্রী তুষন চাকমা’র সঞ্চালনায় ও বিদায়ী কমিটির সভাপতি সুভাষ চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সংগ্রামী সহ-সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রিয় কুমার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতি মহালছড়ি থানা কমিটির সংগ্রামী সভাপতি শ্রী নীলরঞ্জন চাকমা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী জ্ঞান প্রিয় চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি শ্রী সুজন চাকমা (ঝিমিট)। এছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, যুব সমিতির নেতাকর্মী ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের শুরুতে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের আন্দোলনে আত্মবলিদানকারী সকল বীর শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট শোক নিরবতা পালন করা হয়। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ মহালছড়ি থানা শাখার সংগ্রামী সদস্য শ্রী অন্তর চাকমার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা সূচনা করা হয়। এছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত থেকে প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতি শ্রী এল্টন চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা থানা শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক শ্রী রিংকু চাকমা, বাঘাইছড়ি থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী সুকেশ চাকমা, পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শ্রী নিশান চাকমা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন চুক্তি বিরোধী অপশক্তির কারণে মহালছড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ পিসিপি’র কার্যক্রম মুখ থুবরে ছিল, এই সম্মেলনের মাধ্যমে মহালছড়িতে পিসিপি তাঁদের পূর্বের রুপ ফিরে পাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো বহিরাগত অনুপ্রবেশের রেড জোন রয়েছে তার একটি এই মহালছড়ি উপজেলা। প্রতিনিয়ত সেটলাররা এখানকার জুম্মদের ভূমি বেদখল করেই যাচ্ছে, জুম্ম নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক হামলার মত ঘটনা মহালছড়িতে অহরহ ঘটনা সংঘটিত হয়ে আসছে; এর বিরুদ্ধে জুম্ম তরুণ ছাত্র-যুব সমাজের গর্জে উঠতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে চুক্তি বিরোধী অপশক্তিগুলো যাহাতে মহালছড়িসহ পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে ঠিকে থাকতে না পারে তার জন্য শক্ত হাতে দমনের আহ্বান জানান বক্তারা।
শেষে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সহ-সভাপতি শ্রী সুনেন্টু চাকমা প্যানেল ঘোষণা করেন, উক্ত প্যানেলের উপর কারোর আপত্তি না থাকায় সকলের সম্মতিক্রমে ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ থানা কমিটি গঠন করা হয়। ১১তম মহালছড়ি থানা সম্মেলন ও কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন শ্রী রিঝুম চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন শ্রী আপ্পি চাকমা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন শ্রী অন্তর চাকমা।
প্যানেল ঘোষণার পর নবাগত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি’র সংগ্রামী সহ-সভাপতি শ্রী সুনেন্টু চাকমা। সবশেষে সম্মেলনের সভাপতি শ্রী সুভাষ চাকমার বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।