দীঘিনালা প্রতিনিধি
এমএন লারমা’র চেতনায় উজ্জীবিত হোক পাহাড়ের তরুণ প্রজন্ম এই স্লোগানকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সাবেক সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হিল উইমেনস ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডায়না চাকমার সঞ্চালনায় এবং পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা থানা শাখার সভাপতি বিবেক চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতির দীঘিনালা থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর চাকমা ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন পিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী সুজন চাকমা (ঝিমিট), পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণক সম্পাদক ছাত্রনেতা সুবাস চাকমা, যুব সমিতি দীঘিনালা থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েল চাকমা, পিসিপির দীঘিনালা থানা শাখার সদস্য সুবরন চাকমা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা শুধুমাত্র জুম্মজনগণের নেতা নন, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত করার জন্য মহান জাতীয় সংসদে প্রথম আওয়াজ তোলা সাংসদ হচ্ছেন শ্রী লারমা। আজকে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষায় সৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে ঠিকই কিন্তু সত্তরের দশকে সংসদে দাঁড়িয়ে যে আহ্বান জানিয়েছিলেন সে আহ্বানের মর্মবাণী যদি অনুধাবন করা যেত তাহলে বাংলাদেশের আজকে এই পরিণতি ভোগ করতে হতো না, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে আলাদাভাবে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হতো না।
বক্তারা আরও বলেন, পাহাড়ের স্থায়ী শান্তি আনয়নের লক্ষ্যে চুক্তি হয়েছে কিন্তু চুক্তি সম্পাদনের এত বছরেও তা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী জেলা পরিষদ্গুলোতে নির্বাচন না দিয়ে সেগুলোকে দলীয় পূনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। যে কারণে সেগুলো পরিণত হয়েছে দূর্নীতির আখড়ায়।
অলোচনা সভা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার আশু সমাধানের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।