ভেনগার্ড ডেস্ক
নানা হিসাব-নিকাশের অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। পেনসিলভানিয়ায় জয়ের ফলে তাঁর মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এখন ২৭৩। জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আসা রাজনীতির এই মানুষটি যেন তামাম দুনিয়ার রাজনীতির এক বিস্ময়। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা না করেই বিশ্ব নেতারা প্রেসিডেন্ট পদে সদ্য নির্বাচিত ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জার্মান চান্সেলার এঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন তিনি জো বাইডেনের সাথে ‘ভবিষ্যতে সহযোগিতার’ ভিত্তিতে কাজ করার জন্য আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের সময়কার যে বিশাল চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মোকাবেলায় আমেরিকা ও ইউরোপ তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রেখে কাজ করবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ এক টুইট বার্তায় বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আসুন একসাথে কাজ করি ‘
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেস বলেন তিনি বাইডেন ও কমালা হ্যারিসের সাথে ‘সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী’ এবং তিনি তাদের ‘গুড লাক’ অভিনন্দন জানান। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস বলেছেন বাইডেন তার দেশের ‘প্রকৃত বন্ধু’। মিটসোটাকিস বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই অবশ্য এতটা উষ্ণতা প্রকাশ করেননি। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, আমেরিকান প্রশাসনে রাজনৈতিক, নাগরিক ও নৈতিক সব পর্যায়ে নিশ্চিত স্খলন খুবই স্পষ্ট।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বাইডেন ও কমালা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করার পর একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন যাতে তিনি বলেছেন কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে ‘সম্পর্ক অন্যন্য – যা বিশ্বে ব্যতিক্রমী’। দুই দেশের সরকার ‘শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এবং বিশ্বে জলবায়ু সমস্যার মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করবে।’
সূত্র: বিবিসি বাংলা।