জেএসএস নেতা অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যার ৫ বছর

পার্বত্য চট্টগ্রামরাঙ্গামাটি

ভ্যানগার্ড ডেস্ক

অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যার ৫ বছর।

২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ওঁৎপেতে থাকা ইউপিডিএফের (প্রসীতপন্থী) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা।

শক্তিমান চাকমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ সালের ৪ঠা মে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদুতে জুম্মদের উপর গণহত্যা সংঘটিত হয়। সেই গণহত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম ছাত্র সমাজ গড়ে তোলে পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র লড়াকু ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। সেই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিলেন এই শক্তিমান চাকমা। শক্তিমান চাকমা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ঐক্য পরিষদের আমৃত্যু কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পেছনে লুকিয়ে আছে এই মহান মানুষটির অবদান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতার সাথে তার সখ্যটা ছিল। তার মাধ্যমেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি ও সরকারের যোগাযোগ স্থাপিত হয়। যার পরবর্তীতে কয়েক দফা বৈঠকের পর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

শক্তিমান চাকমা হত্যার ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। শক্তিমান চাকমার হত্যা মামলায় প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের গুটিকয়েক নেতাকর্মী আটক হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন মূল আসামীরা। যারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর হতে প্রত্যাগত শান্তিবাহিনীর সদস্যদের হত্যায় মদদ দিয়ে আসছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত গডফাডার প্রসীত বিকাশ খীসা, রবিশংকর চাকমাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনা করবে এই প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফরা।

Tags: , , , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

বর্বরতম লংগদু গণহত্যার ৩৪ বছর আজ
খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীতে ফুল দিতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu