সিএইচটি ভ্যানগার্ড

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু নারীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ জুন ২০২৫ এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনায় ধর্ষক ফজর আলী (৩৮) আজ ২৯ জুন ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে আটক হয়েছে বলে জানা গেছে। একই ভুক্তভোগী নারীর উলঙ্গ ভিডিও ধারণ করে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
উল্লেখ্য যে, সংবাদ মাধ্যমে ভুক্তভোগী বলেন তিনি বিগত কিছুদিন আগে কুমিল্লার মুরাদনগরে বাপের বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাঁর (ভুক্তভোগীর) বাড়িতে গিয়ে দরজার বাইরে থেকে ডাক দেন। দরজা না খোলায় ফজর আলী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারা প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এবং সেই অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারে, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার। তখন স্থানীয়রা ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফজর আলী হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।
পরে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়। ভুক্তভোগী নারীকে যারা মারধর করেছে তাদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে বিবৃতি দিয়েছে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ চাকমা স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, দেশে ধর্ষণের কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদাহরণ ও বিচারহীন সংস্কৃতির কারণে অপরাধীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে উৎসাহিত হচ্ছে।
