সিএইচটি ভ্যানগার্ড

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না। সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টাও ক্ষুদ্র শব্দটির ব্যবহার করতে চান না। মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা- যে জাতি হই না কেন, ক্ষুদ্র বা বৃহৎ কিছুই না।’
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, ‘নৃ-গোষ্ঠীর আগে আমরা ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটক বান্দরবানে আসুক- এটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠীর এমন সংমিশ্রণ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।’
পাহাড়ে অশান্ত পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অগ্রগতির মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার, ইতালিয়ান অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতিনিধি আন্দ্রে কার্স্টেন্স, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার প্রমুখ
গত ১৩ এপ্রিল থেকে বান্দরবানে শুরু হওয়া মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের শেষ দিনে মৈত্রী জলবর্ষণ ও মনোরম সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা।
এ সময় পুরনো বছরের গ্লানি মুছে সুখ ও শান্তি প্রত্যাশা করা হয়। মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানোর পাশাপাশি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ১১টি নৃ-গোষ্ঠীসহ বাঙালি শিল্পীরা লোকজ সংগীত, নৃত্য ও বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে আনন্দ উদ্যাপন করে।