প্ল্যুং এর সুরে মেঠে উঠল খাগড়াছড়ি।
সিএইচটি ভ্যানগার্ড

বান্দরবানের থানচি থেকে আসা ম্রো আদিবাসীদের প্ল্যুং -এর সুরে সুরে মেঠে উঠেছিল পুরো খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, সাংলান, বিজু, বিষু, বিহু, পাতা (বৈ-সা-বি) উপলক্ষ্যে “বৈ-সা-বি উদযাপন কমিটি-২০২৫, খাগড়াছড়ি” এর আয়োজনে খাগড়াছড়িতে বিশাল এক বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বর্ণাঢ্য র্যালীর স্লোগান ছিল “সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য একটি জাতির প্রাণ, স্ব-স্ব জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষায় এগিয়ে আসুন”।
র্যালীতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল ও ম্রো জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা আড়ম্বরপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করেছে। র্যালীতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করেছে, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসসহ নানা প্রকারের কৃষ্টি-কালচার, ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্ঠা করা হয়েছে র্যালীতে।

চাকমাদের গেংহুলির সুরে, ত্রিপুরাদের গরিয়া নৃত্যের তালে তালে, সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী নাচের তালে তালে, মারমাদের সাংগ্রাইয়ের গানের তালে তালে, ম্রোদের প্ল্যুং এর সুরে সুরে এক ঐতিহাসিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
র্যালীটি শহরের চেঙ্গী স্কোয়ারের সামনে হতে শাপল চত্বর আদালক সড়ক হয়ে ডিসি অফিসের সামনের দিকে হাসপাতাল রোড হয়ে মধুপুর ঘুরে নিউজিল্যান্ড বৈ-সা-বি মেলার মাঠে এসে শেষ হয়।

র্যালী শেষে মেলার মাঠে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য ও সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

উল্লেখ্য যে আগামী ১২ তারিখ হতে চাকমাদের ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে উৎসবের বন্যা বয়ে যাবে। পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখের আগমনে পাহাড়ে আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে যায়। এই উৎসবটি চাকমাদের মাঝে বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই, ত্রিপুরাদের বৈসু, সাঁওতালদের পাতা, ম্রো, চাক, বম ও খুমিদের কাছে চাংক্রান, অহমীয়া জাতিগোষ্ঠীদের বিহু, তঞ্চঙ্গ্যাঁদের বিষু, খিয়াংদের মাঝে সাংলান হিসেবে পরিচিত।