বার্তাকক্ষ
গতকাল (২২ আগস্ট ২০২৪) বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দাতারাম পাড়া (তালতলী) এলাকায় সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক চাকমা নারীকে (৪০) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৮-১০ জন সেটেলার বাঙালি ঐ বিধবা জুম্ম নারীর বাড়িতে যায়, দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে জোরপূর্বক ঘর থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগী নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী ও তার কিশোরী মেয়ে ৩ জনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। তারা হল- (১) মোঃ ইউসুফ (২২), পিতা-মোঃ ইসমাইল, (২) রানা ও (৩) মোশাররফ। তাদের সকলের বাসা পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নাককাবা রসুলপুর এলাকার কুমিল্লা কলোনিতে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গতরাতে ভুক্তভোগী নারী ও তার এক কিশোরী মেয়ে রাতে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়িটি মূল গ্রাম থেকে সামান্য বিচ্ছিন্ন। বাড়ির আশেপাশে সেটেলারদের ফলমূলের বাগান রয়েছে। প্রতিদিন সেটেলাররা তাদের সাথে ঝামেলা বাঁধাতে চায়তো। কোনো কোনো সময় তাদের বাড়ির ক্ষেতে গরু-ছাগল বেঁধে দিয়ে যেত। গতকাল রাত ১১ থেকে ১২টার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের একদল সেটেলার বাঙালি বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েকে ঝাপটে ধরে এবং মা ও মেয়েকে আলাদা করে ফেলে। ৭/৮ জন সেটেলার মাকে ধরে জোরপূর্বক বাগানের দিকে নিয়ে যায়। কিশোরীকে বাড়িতে মোঃ ইউসুফ নামে একজনের কাছে রেখে যায়। ইউসুফ মেয়েটির মুখে কাপড় বেঁধে দিতে চাইলে, মেয়েটি ধস্তাধস্তি করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এরপর মেয়েটি কোনোরকমে পার্শ্ববর্তী পৈলাক খাল পার হয়ে তালতলী মূল গ্রামের বাসিন্দাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে গ্রামবাসী একতাবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে দেখেন মেয়ের মা উস্কোখুস্কো অবস্থায় বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে এলাকাবাসী পুরো বাগান ও বাড়ির আশপাশ এলাকা তন্নতন্ন করে খোঁজেন। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিক যোগাযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী মেয়ের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তার মাকে বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।
এলাকাবাসী গতরাতেই রসুলপুর এলাকার এক মেম্বারকে জানালে তিনি আজ গ্রামের মুরুব্বিসহ সকলে মিলে একটি সালিশী বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে রামগড় থানায় অবস্থান করছিলেন ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকার মুরুব্বিরা।