বান্দরবানের আলোচিত সিক্স মার্ডার ঘটনার ৩ বছর আজ

বান্দরবান

সিএইচটি ভ্যানগার্ড

আজ ৭ জুলাই ২০২৩ ইং বান্দরবানে সন্তু লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কর্তৃক জনসংহতি সমিতির ৬ নেতাকে হত্যার ৩ বছর। হত্যাকান্ডে জড়িতরা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিগত ২০২০ সালের ৭জুলাই আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজার পাড়ায় সন্তু লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন জনসংহতি সমিতি’র শীর্ষ দুই নেতাসহ ৬ জন।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র সংগ্রামী কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা (প্রজিত, বিধু- ৬৮) ; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চিংথোয়াইঅং মারমা (ডেবিট- ৫৬); পিসিজেএসএস বান্দরবান জেলা কমিটির সংগ্রামী সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যাঁ (৫০); পিসিজেএসএস মহালছড়ি থানা শাখার সদস্য রবীন্দ্র চাকমা (মিলন- ৫০); যুব সমিতির সদস্য রিপন ত্রিপুরা (জয়- ৩৫) ও যুব সমিতি’র সদস্য জ্ঞান ত্রিপুরা (৩২)। আহত হন যুব সমিতি’র নিরু চাকমা ও বিদ্যুৎ ত্রিপুরা।

ঘটনার পরদিন (৮জুলাই ২০২০) পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র বান্দরবান জেলা কমিটির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামায় ১০ জনের নামে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু হত্যাকান্ডের ৩ বছর অতিবাহিত হলেও শুধুমাত্র মামলার ১নং আসামী আপাই মারমা আটক করা হলেও বাকি আসামীসহ গড ফাডাররা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি দীর্ঘদিন যাবত হতে জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করা মানুষদের উপর হত্যা, অপহরণ, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি করে তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা জিইয়ে রেখেছে। কিন্তু এসব অপরাধের কোন বিচারই আজ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ পায়নি।

Tags: , , , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ৬ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখতে চায় ইইউ
জেএসএস নেতা কমলেশ্বর চাকমা আর নেইঃ জনসংহতি সমিতির শোক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu