পানছড়ি ও দীঘিনালায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সাথে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ

খাগড়াছড়িপার্বত্য চট্টগ্রাম

সিএইচটি ভ্যানগার্ড, খাগড়াছড়ি

প্রতীকি ছবি

খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও দীঘিনালায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সাথে জেএসএস সন্তু গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।

জানা যায়, আজ শনিবার (১১ জুন ২০২২ ইং) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের দুর্গম হরণসিং পাড়া এলাকা ও দীঘিনালার নাড়েইছড়ির দুর্গম সিরেন্দি পাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধগুলো সংঘটিত হয়।

গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ২০১৫-১৬ সালের ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের সমঝোতা চুক্তির শর্ত ছিল একে অপরের সাংগঠনিক এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেনা। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ধরে জেএসএস(সন্তু) দলের সশস্ত্র গ্রুপ ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের সাংগঠনিক এলাকায় অবস্থান করে আসছে। এ নিয়ে দু’দলের মধ্যেখানে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি ছিল। সন্তু দলের সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার দাবী জানিয়ে সাধারণ জনগণকে দিয়ে বহুবার মিছিল-সমাবেশ করিয়েছিল ইউপিডিএফ (প্রসীত)। ফলশ্রুতিতে রেষারেষি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।

সর্বশেষ গত ৯ জুন ২০২২ ইং ইউপিডিএফ(প্রসীত) সরকারের মধ্যস্থতাকারী মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলামের কাছে চুক্তি আকারে তাদের ৬৬পৃষ্ঠার ৮৭টি দাবীনামা পেশ করে। দাবীনামায় বেশীরভাগ চুক্তির সংশোধন বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু চুক্তি স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমাদের সাথে আলোচনা ব্যতীত উক্ত দাবীনামা পেশ করার ফলে জেএসএস (সন্তু) ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে গতকাল (১০জুন ২০২২) তাদের দু’দলের মধ্যেকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু কোন সুরাহা ব্যতীত উক্ত বৈঠক সমাপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে আজ ভোর রাতে এ বন্দুকযুদ্ধ সংগঠিত হয়।

ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

Tags: , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৬ বছর
জুম্ম জনগণের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক সুধাসিন্ধু খীসার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu