সিএইচটি ভ্যানগার্ড, বান্দরবান
বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়িতে ব্রাশফায়ারের ঘটনায় ২৩ জনকে আসামী করে বান্দরবান সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী থানার গাইন্দ্যা য়চিং খই (৩৩) নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও জেএসএস’র (সন্তু) কেন্দ্রীয় নেতা, বান্দরবান সদরের মধ্যম পাড়ার বাসিন্দা কেএসমং মার্মাকে (৬০) প্রধান আসামী করা হয়। মামলায় রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী থানার কিনাধন তংচঙ্গ্যা এর পুত্র গর্জন ত্রিপুরাকে ২নং আসামী, রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার মংনুচিং মারমা (৫০)কে ৩নং আসামীসহ বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি,রাজবিলা এবং রাঙ্গামাটির সর্বমোট ২৩জনকে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী য়চিং খই জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আমাদের একটি পর্যটকের দল বান্দরবানের রুমা উপজেলা ঘুরতে যাই। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর ভ্রমন শেষে আমরা বান্দরবান থেকে রাজস্থলী ফেরার পথে বান্দরবানের ২নং কুহালং ইউনিয়ন এর গলাচিপায এলাকায় পৌঁছালে আসামীরা আমাদের গাড়ি গতিরোধ করে হত্যা করার জন্য আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
য়চিং খই আরো জানান, গুলির ঘটনায় আমাদের জীপগাড়ীর চাকা ফুটে যায় এবং গাড়ীতে থাকা ৬জন পর্যটক গুলিবিদ্ধ হয়, পরে গুলিবিদ্ধ আহতদের বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এই ঘটনায় গাড়ীর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান,পর্যটকদের গাড়ীতে গুলির ঘটনায় ২৩ জনকে আসামী করে ১৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরপরই আইনানুগ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
উক্ত মামলার বিষয়ে জেএসএস’র (সন্তু) পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া ও বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।