সিএইচটি ভ্যানগার্ড, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় আজ শনিবার (৩ জুলাই ২০২১) ভোর আনুমানিক ৪টার সময় সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্ম মারমা কিশোরীকে (১৪) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভিক্টিমের সূত্রে জানা গেছে যে, পরিবারের সাথে মনোমালিন্যের জেরে রাগ করে গভীর রাতে গুগরাছড়ির নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে ওই কিশোরী। এরপর সারারাত পায়ে হেঁটে ভোর ৪:০০ টায় খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালের কাছে পৌঁছায়। তাকে একা পেয়ে দুইজন যুবক পথ অনুসরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাস টার্মিনাল এলাকায় এলে দুই যুবক জোর করে তুলে নিয়ে গাড়ির ভিতরে গণধর্ষণ করে। এরপর কিশোরীটি পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে আরেকটি গাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়।
পরে ভিক্টিম নিজেই খাগড়াছড়ি সদর থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানালে আজ সকাল ৬টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে দু’জন ধর্ষককে আটক করে। এ সময় পুলিশ ধর্ষণের কাজে ব্যবহৃত বাস দু’টিও আলামত হিসেবে জব্দ করেছে বলে জানা যায়।
আটককৃত ধর্ষকরা হলো- ১. মো. কামাল মিজি (৩০), পেশাঃ বাসের হেলপার, পিতাঃ আলী আহম্মেদ, গ্রামঃ উত্তর গঞ্জপাড়া, খাগড়াছড়ি সদর ও ২. মো. রফিকুল ইসলাম(২৫), পেশাঃ মিস্ত্রি, পিতাঃ আব্দুল হামিদ, গ্রামঃ মাধবপুর, হবিগঞ্জ জেলা।
এ ঘটনায় ভিকটিম কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি সর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম কিশোরীকে প্রথমে একটি বাসে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আটককৃত কামাল যে বাসটির হেলপার সে বাসটিতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ভিমটিম কিশোরী থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদের গ্রেফতার করেছে। আলামত হিসেবে বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে।