ভ্যানগার্ড ডেস্ক
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পাড়াকেন্দ্রের এক জুম্ম নারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর চৌধুরীর (৩৫) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গুইমারা থানায় নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। গত ২০ এপ্রিল ২০২১ মামলাটি দায়ের করেন।
গত ১৮ এপ্রিল ২০২১ সাগর চৌধুরী কর্তৃক ওই শিক্ষিকাকে মারধর ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। অভিযুক্ত সাগর চৌধুরী গুইমারা উপজেলার দার্জিলিং টিলার মৃত নিরঞ্জন চৌধুরীর ছেলে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন যে, তিনি ইউনিসেফ পরিচালিত একটি পাড়াকেন্দ্রে শিক্ষকতা করেন। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সাগর চৌধুরী প্রায় সময়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা আদায় করে নেয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি এজাহারে বলেন, গত রবিবার (১৮ এপ্রিল ২০২১) গুইমারার মুসলিম পাড়া এলাকায় একটি পাড়াকেন্দ্রে তিনি মিটিং এর জন্য যান। মিটিং শেষে বাসায় ফেরার পথে বিকাল আনুমানিক ৩:৩০টার দিকে সাগর চৌধুরী ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে পথরোধ করে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে বাসায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে সাগর চৌধুরী তাকে বেপরোয়াভাবে মারধর করে জখম করে। পরে তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ সময় সাগর চৌধুরী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে তার ভাই ও আরেকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার সাগর চৌধুরীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায় ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাগর চৌধুরী তার স্ত্রী মাধবী রায় চৌধুরী ওরফে পিংকিকে (২৫) মারধর এবং গলাটিপে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েই তিনি ওই শিক্ষিকাকে নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিলেন বলে অভিযোগ শিক্ষিকার।