নিজস্ব প্রতিবেদক
খাগড়াছড়িতে এক বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণধর্ষনের ঘটনায় চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে। তবে পুলিশ অগ্রগতি শতভাগের দ্বার প্রান্তে বলে দাবী করলেও তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
বুধবার(২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ২ঃ৩০টায় খাগড়াছড়ি জেলার বলপিইয়ে আদাম এলাকায় এক বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি এবং গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
৯ সদস্যের ডাকাত দলের সদস্যরা একটি কক্ষে নিয়ে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে বেঁধে রেখে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। প্রায় দেড় ঘন্টা তাণ্ডব চালিয়ে ডাকাত দল স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়।
ধর্ষিতা খাড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পূর্ণ জীবন চাকমা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রশীদ জানান, আমরা এখনো চট্টগ্রামে অভিযান চালাচ্ছি। অগ্রগতি শতভাগের পথে।
অপরদিকে প্রশাসনের এই বক্তব্যকে ঘিরে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি রয়েছে।
বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর উদাহরণ টেনে বিশিষ্ট জনেরা বলছেন, পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পরবর্তী সময়েও পাহাড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা কমেনি। এই ধরণের ঘটনাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজীরও নেই।
তাই শুধুমাত্র পরিস্থিতিকে সামাল দিতে দোষীদের গ্রেপ্তার না করে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সচেতন মহল।