ভ্যানগার্ড ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র রাঙ্গামাটি জেলা শাখার তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীর্ঘ চাকমা, যুব নেতা জীবন চাকমা, দীঘিনালা কলেজ শাখা পিসিপি’র সভাপতি সুখেন চাকমা, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ শাখা পিসিপি’র সভাপতি গুনেন্টু চাকমা’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০১৩ সালের ১২ই মার্চ রাঙ্গামাটি জেলার লংগদুতে সাংগঠনিক সফরে গিয়ে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি’র সশস্ত্র ক্যাডারদের ব্রাশ ফায়ারে দজর পাড়া এলাকায় নির্মমভাবে শহীদ হন সুদীর্ঘ চাকমারা।
সুদীর্ঘ চাকমার নীতি-নৈতিকতা, আচার-ব্যবহার ইত্যাদি কারণে নিজ কর্মী ও প্রতিপক্ষ কর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে ছিল তার তুমুল জনপ্রিয়তা।
সুদীর্ঘ চাকমার হত্যার পরবর্তী দেশব্যাপী নিন্দার ঝর বয়ে গিয়েছিল। সুদীর্ঘ চাকমা নারী অধিকার নিয়ে সচেতন ছিলেন, ধর্ষণ-হত্যার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন, জুম্ম জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব ও জন্মভূমির অস্তিত্ব রক্ষাসহ সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিলেন সোচ্চার। জীবিত অবস্থায় তিনি ভাতৃঘাতি সংঘাত নিয়ে খুবই উদ্বীগ্ন ছিলেন, যার কারণে একসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিরুদ্ধে প্রচুর প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতই তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।