সিএইচটি ভ্যানগার্ড

আগামী ২৭ ও ২৮ জুন ২০২৫ইং ঢাকা হতে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ ঘোষণা করেছে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ। মূলত বাংলাদেশের সকল বামদলগুলো সম্মিলিতভাবে এ কর্মসূচীর ঘোষণা করেছে।
ইতিমধ্যে দেশের সকল বাম দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে রোডমার্চে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত ও সফল করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, প্রচারণা মিছিল ইত্যাদি চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ হতে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বৃহৎ ও লাভজনক নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশী কোম্পানির হাতে ইজারা দেয়া এবংমিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতি বলছে বাম সংগঠনগুলো। তারা বলছে, নিউমুরিং টার্মিনালকে বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় জনগণকে না জানিয়ে গোপনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রভাবে দেশে বিদেশী কর্তৃত্ব বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে বলেও তারা বলছেন।
তারা আরো বলছে, সরকার মিয়ানমারে কথিত মানবিক করিডোর বা ত্রাণ চ্যানেল ঘোষণা দিয়েছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই করিডোর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য চাপ দিচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে। বর্তমানে দেশটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ এবং গৃহযুদ্ধ তুমুলভাবে চলমান রয়েছে। মিয়ানমারকে নিয়ে আমেরিকা, পশ্চিমা দেশগুলো, চীন, ভারত, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশগুলোর ভূরাজনৈতিক ও ছায়াযুদ্ধ চলছে। মিয়ানমারে করিডোর দেয়া মানে বাংলাদেশকে সরাসরি মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত করানো এবং ভূরাজনৈতিকভাবে দেশকে বিপদে ফেলা। ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।
একই সাথে মার্কিন স্যাটেলাইট কোম্পানি স্টারলিংককে দেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের অনুমতির মাধ্যমে দেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তাকে অনিশ্চয়তায় ফেলা হয়েছে। এই স্টারলিংক বিভিন্ন নজরদারি তথ্য পাচার করে থাকে। অন্যদিকে সামরিক শিল্পের মত স্পর্শকাতর খাতে তুরস্ক ও কাতারকে অস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণের আহ্বান করেছে সরকার। যুদ্ধ মুক্ত পৃথিবী ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের জন্য এটা সামরিক ঝুঁকি বৃদ্ধি করবে।
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের নামে প্রচারিত একটি প্রচারপত্রে তারা ৪টি দাবী তুলে ধরেছে-
১। নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া চলবে না। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পরিচালনা করতে হবে।
২। রাখাইনে করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ কর।
৩। স্টারলিংক, সমরাস্ত্র কারখানা, করিডোরের মাধ্যমে দেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ কর।
৪। মার্কিন ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী দেশসমূহের সাথে আওয়ামী ফ্যাসীবাদী সরকারসহ বিগত সকল সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি প্রকাশ কর। জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি বাতিল কর।