সিএইচটি ভ্যানগার্ড, সাভার, ঢাকা
“সময়ের উক্তি, মানবতার মুক্তি; শ্রমিকদের কাঙ্কিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর সাভার এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র শ্রমজীবি অঙ্গ সংগঠন “আদিবাসী শ্রমজীবি সমিতি’র” ৩য় বারের মত কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে আজ।
আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ ঘটিকার সময়ে রাজধানীর সাভারস্থ বাটলার্স হোটেল এন্ড ক্যাটারিং সেন্টারে এ কাউন্সিল সম্পন্ন হয়।
আদিবাসী শ্রমজীবি সমিতি’র নেতা শ্রী আনন্দ বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক শ্রী প্রীতি খীসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি সদর থানা কমিটির সংগ্রামী সভাপতি শ্রী প্রত্যয় চাকমা; পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি শ্রী রাজ্যময় চাকমা; পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতি শ্রী আম্বেদকর চাকমা প্রমূখ।
কাউন্সিলে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আদিবাসীরা কর্মসংস্থানের জন্য রাজধানীতে পাড়ি জমান। আদিবাসীদের বড় একটি অংশ গার্মেন্টস শিল্প ও বিভিন্ন কলকারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা এসব সহজ সরল আদিবাসীরা বিভিন্ন সময় স্থানীয় বাঙ্গালি জনগোষ্ঠী, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কিংবা কলকারখানার মালিকদের কাছে হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হন। বিশেষ করে আদিবাসী নারীরা যৌন নিপীড়নসহ লাভ জিহাদের মত বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হন। আদিবাসী শ্রমজীবি সমিতি প্রতিষ্ঠার পর হতে সাভার এলাকায় অবস্থানরত আদিবাসীদের বিভিন্নভাবে এসব সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে সহযোগীতা দিয়ে আসছে। শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায় কিংবা আদিবাসী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে শ্রমজীবি সমিতি সবসময় একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বক্তারা জানান।
বক্তারা আরও বলেন, শ্রমজীবি সমিতি শুধুমাত্র শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সেখানকার শ্রমজীবি মানুষ ও সমতলের বিভিন্ন বাম সংগঠনসহ শ্রমিক সংগঠনগুলোর মাঝে জনমত গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তাঁরা শ্রমিকদের অধিকার আদায় ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে আদিবাসী শ্রমজীবি মানুষদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরিশেষে সবার সম্মতিক্রমে পুরাতন কমিটিকে বিলুপ্তি ঘোষণা করে শ্রী অনিল চাকমাকে সভাপতি, শ্রী আনন্দ বিকাশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও শ্রী প্রীতিময় চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির প্যানেল ঘোষণা ও নবাগত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহ- সভাপতি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক শ্রী প্রীতি খীসা।