সিএইচটি ভ্যানগার্ড, বাঘাইছড়ি
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম বাঘাইহাট ৪নং ওয়ার্ডের বামে বাইবাছড়া গ্রামে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেঘনা চাকমা (৬) নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট ২০২৩ইং রাত আনুমানিক ১টার দিকে নিজ বাড়িতে মেঘনা চাকমা মারা যান। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আশেপাশে হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসার কোন সু-ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
গত ৩০ জুলাই এক প্রসূতি মাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেন এবং সেখানেই সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৩০ জুন ২০২৩ইং দুপুর ২টার দিকে সাজেকের গঙ্গারাম এলাকার রেতকাবা গ্রামে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অর্পিতা চাকমা (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। শুধু নিউমোনিয়ায় নয় একইদিন লংথিয়ান পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন গিরি রঞ্জন ত্রিপুরা (৩৫) নামে এক যুবক। এছাড়াও গত ১৭ জুন বাহন ত্রিপুরা (৫৫) ও মেলাতি ত্রিপুরা (৫০) তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই মৃত্যুবরণ করেন, গত ৭জুন ভোর রাতে গবতি বালা ত্রিপুরা (৫০) ও দরুং ত্রিপুরা (৬০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা সকলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।
বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউনিয়ন সাজেকে এখনো মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা ও চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। অথচ পর্যটনের জন্য রঙিন করে সাজানো হয়েছে সাজেকের রুইলুই পাহাড়কে। দেশ-বিদেশের পর্যটক এসে এখানে আমোদ-প্রমোদ করে অথচ এখানকার মানুষেরা যে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত সেদিকে কারোর ভ্রুক্ষেপ নেই।
দুর্গম এ সাজেকের পাহাড়ী এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট, স্যানিটেশনের অভাব, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা, হাসপাতাল-ক্লিনিকের অভাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব। এসব ইত্যাদি কারণে প্রতিবছর এ অঞ্চলে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ও চিকিৎসার অভাবে অসংখ্য শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।