ভ্যানগার্ড ডেস্ক

বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার রুপসী পাড়া ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ম্রো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই ম্রো তরুণী র্বতমানে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার একটি খামারে ওই তরুণীর বসবাস। খামারের পাশে গাজীপুরের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের মাছের খামার ও তামাকের ক্ষেত আছে। এভাবে পাশাপাশি চলাফেরার কারণে এক সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন আসামী মাহবুব। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে এবং তরুণীর মা-বাবা নাইক্ষ্যংছড়িতে মেয়েকে বিয়েও দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
রুপসী পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাছিংপ্রু মারমা জানান, তরুণীকে বিয়ের কথা বলে বিগত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে আসছিল মাহবুবুর রহমান। গত ১১ মে ২০২১ তারিখে তরুণীকে গর্ভপাত করার জন্য মাহবুবুর রহমান চাপ দিতে থাকেন। তরুণী গর্ভপাত করতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করেন এবং জোর করে ওষুধ খাইয়ে খামার থেকে দ্রুত পালিয়ে চলে যান মাহবুবুর। এতে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমানকে আসামি করে ১২ই মে ২০২১ইং তারিখে (বুধবার) লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই তরুণী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের কথা বলে মাহবুবুর রহমানের ধর্ষণের কারণে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। অভিযুক্ত মাহবুবুরকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।