খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জুম্ম সমাজে নারীদের সমমর্যাদাসহ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি সদরের তেতুলতলা মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির ৪র্থ কেন্দ্রীয় এবং যৌথ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সকাল ১০ ঘটিকায় শুরু হওয়া সম্মেলনে রত্না তঞ্চঙ্গ্যার সঞ্চালনায় এবং সংগঠনটির বিদায়ী কমিটির সভাপতি কাকলী খীসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংশুমান চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মল্লিকা চাকমা প্রমুখ।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিকভাবে পশ্চাদপদ করে রাখা এই জনপদের জুম্ম জনগণকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমাজের অর্ধেকাংশ নারীদের অংশগ্রণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠালাভ করেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই সংগঠনটির বিপ্লবী ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নারীদের সমমর্যাদাসহ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে আন্দোলন বেগবান করার কোন বিকল্প নেই।
সম্মেলন থেকে কাকলী খীসাকে সভাপতি এবং রত্না তঞ্চঙ্গ্যাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি এবং মল্লিকা চাকমাকে সভাপতি ও নিপুরানি চাকমাকে সম্পাদক নির্বাচন করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।