বান্দরবানে অপহরণের পর বগালেকের কটেজ থেকে ছেড়ে দিল কেএনএফ

বান্দরবান

সিএইচটি ভ্যানগার্ড

বান্দরবানের রুমা উপজেলার বগালেক এলাকা থেকে অপহৃত চারজনের সবাই মুক্তি পেয়েছে।

শুক্রবার (৯ জুন) ভোরে অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ত্রাসীরা দুই শ্রমিককে ছেড়ে দেয়। তবে ঠিকাদার মো. ইদ্রিস এবং শ্রমিক আউয়ালকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে। গত দুদিন তাদের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিল না।

রুমা থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, শনিবার (১০ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে বগালেক-ক্যাওক্রাডং সড়কের কাছাকাছি এলাকায় এনে বাকি দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর ঠিকাদার মো. ইদ্রিস এবং শ্রমিক আউয়াল বগালেক সেনা ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন। তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনী বা পুলিশ বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করছে না

তবে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ধারণা করছে, পাহাড়ের নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সদস্যরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কারণে বিভিন্ন ক্যাম্প ছেড়ে দিতে হলেও বগালেক এলাকায় তাদের তৎপরতা রয়েছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, অপহরণের ঘটনা পুলিশ জেনেছে। কিন্তু কেউ এখনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তিনি জানান, অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পরই দুই শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সড়ক নির্মাণকাজের ঠিকাদার মো. ইদ্রিস ও শ্রমিক আউয়াল।

এর আগে বগালেক ক্যাওক্রাডং সড়কে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আনোয়ারকে গত ১৭ মার্চ অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে কেএনএ। ঘটনার ১৫ দিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে মুক্তির বিষয়ে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছিল বলে জানা যায়।

এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং তাদের সামরিক শাখা কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সাথে একটি শান্তি সংলাপ উদ্যোগের শুরুর আগেই এই অপহরণ ঘটনা শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে জঙ্গি কানেকশন বন্ধ করতে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, আলীকদম এবং রাঙামাটির কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এই অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫৯ জন এবং কেএনএফের ৩০ জনকে আটক করে। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে বান্দরবানের বিকাশমান পর্যটন ব্যবসা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

সূত্র: আজকের পত্রিকা

Tags: , , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মবীর চাকমা আর নেই
জেএসএস নেতা সুধাসিন্ধু খীসার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu