বাঘাইহাট ঘটনার পৃষ্ঠপোষক ”ইউপিডিএফ”

পার্বত্য চট্টগ্রামরাঙ্গামাটি

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, সিএইচটি ভ্যানগার্ড

গতকাল মঙ্গলবার। সময় সকাল ৯ বা ১০ টা। একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসলো। অপর প্রান্ত থেকে বললো, বাঘাইহাট উজো বাজারের মাঠে ইউপিডিএফ নেতা কর্মীরা জড়ো হয়েছে। জানতে চাইলাম কেন ? বললেন, এখানে প্রত্যকের হাতে লাঠি। তবে লাঠিগুলো সবই একই সাইজের। একই মাপের। কিছু গাছের আর কিছু বাঁশের কঞ্চি। ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি থানা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা ফোন করে বলছে, প্রত্যক গ্রাম থেকে যে ৩০/৩৫ জন করে লোকজন আসার কথা সেগুলোকে দ্রুত পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন। অপর প্রান্তে যে কাউকে তিনি বলছেন। এর কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন দিক থেকে চাঁন্দের গাড়িতে করে আর কিছু পায়ে হেঁটে বাঘাইহাট-রুইলুই বড় রাস্তার পিচঢালা রোডের উপর (রেডবাকা, দফদা, বাইবাছড়া ও উজো বাজার স্থানে) দফায় দফায় ২/৩ শ লোক উঠে পরে। সেখান থেকে যুব ফোরামের সাজেক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক ইঙ্গেশ চাকমা ও সহ-সভাপতি কিরণ চাকমা ওরফে ভিস্বা বৈদ্য বললেন এখন সবাই এই রাস্তা ধরে বাঘাইহাট বাজারের দিকে যেতে হবে। সবাই পিচ রাস্তা ধরে হাঁটুন। সেখানে কি করতে হবে সামনে গেলে বড় ভাইয়েরা সব বুঝিয়ে দিবেন। সেখানে তারা অপেক্ষা করছেন। বড় ভাই মানে ইউপিডিএফের সাজেক পরিচালক অক্ষয় চাকমা, রিযেল চাকমা ও মন্টু চাকমা।

ইউপিডিএফ কমান্ডার ডিপজল
গঙ্গারাম ইউনিট পরিচালক মন্টু চাকমা
সাজেক এরিয়া পরিচালক অক্ষয় চাকমা

লোকজন তখনও কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি যে বাঘাইহাট বাজারে গিয়ে কি করতে হবে। সবাই যখন নিদিষ্ট স্থানে পৌঁছালো তখন সবাইকে সেখানে জড়ো করানো হল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাওয়া লোকজনকে রিসিভ করলেন ইউপিডিএফের অস্ত্র চোরাকারবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন জয় চাকমা ও বাবুধন চাকমা (বাবুধন চাকমা অবশ্যই নিজেকে উজোবাজার কমিটির সভাপতি দাবী করেন। তিনি আদতেই অস্ত্র আনা নেওয়ার কাজটি করেন ইউপিডিএফর হয়ে)। স্থানটি বনানী বন বিহার গেইট। সেখান থেকে বাঘাইহাট বাজারের দুরত্ব একেবারেই কম। গেইটের পাশে খালি যে মাঠটি রয়েছে সেখানে লোকজনকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়ানোর জন্য বলা হলো। কিছুক্ষণ পর লোকজনের সামনে এসে দাঁড়ালো অপেক্ষমান ইউপিডিএফ পরিচালক অক্ষয় চাকমা ও গঙ্গারাম পরিচালক মন্টু চাকমা। তাদের পিছনে এসএমজি ধরে ৪ জন অস্ত্রধারী। তারা ইউপিডিএফর সশস্ত্র গ্রুফের র সদস্য। উপস্থিত লোকজনের সামনে অক্ষয় চাকমা বললেন, আপনারা হয়ত সবাই জানেননা আজকে আমরা এখানে কেন সমবেত হয়েছি। কিছু লোকজনের হাতে কেন লাঠি সোটা দেখছি। তা আমি খুলে বলছি। তবে আমি যা বলছি তা হচ্ছে সবই আমাদের দলীয় সির্দান্ত বা দলীয় নির্দেশনা। গত ৯ জুন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা ছিল। আপনারা সেটা সবাই জানেন। কিন্তু কেন হতে পারেনি তাও সবাই জানেন। নির্বাচনের আগে অথাৎ ৭ তারিখ নব্য মুখোশ ও সংস্কারের কিছু লোকজন রাতের আঁধারে বাঘাইহাট বাজারে এসে আশ্রয় নেই। তাদের উদ্দেশ্য হলো তারা ঘোড়া মার্কার প্রার্থী সংস্কার নেতা সুদর্শন চাকমাকে জেতানোর জন্য এসেছিল। সেটা আমাদের সংগঠন ইউপিডিএফ অবগত হওয়ার পর সুষ্ট নির্বাচনের দাবীতে ৮ জুন সড়ক অবরোধ ঘোষণা করলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এ সির্দান্ত আমরা স্বাগত জানালেও আমরা মনে করেছিলাম নব্য মূঁেখাশ ও সংস্কার কর্মীরা বাঘাইহাট বাজার ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু দেখা গেছে তারা এখনো ফিরে যায়নি। সেজন্য তাদেরকে এখান থেকে বিতাড়িত করতে হবে। বিতারিত করতে না পারলে আমরা আমাদের সংগঠনের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছি। তারা যদি এই বাঘাইহাট বাজারে আস্থানা করে বসে তাহলে আমাদের সংগঠন ইউপিডিএফের গলার কাটা হয়ে উঠবে। সেজন্য তাদেরকে তাড়ানোর জন্য আজকে আপনাদেরকে জড়ো করেছি। আপনারা এখান থেকে মিশিল করে গিয়ে তাদের আস্থানা ঘেরাউ করতে হবে এবং দরজা জানালা ভেঙ্গে তাদেরকে বের করে এনে সবাইকে গন ধোলাই দিয়ে মেরে ফেলতে হবে। এ ঘোষণা দেওয়ার পর পর গেইটের পাশে রাখা (আগাম কেটে রাখা হয়েছে) বাঁশ ও গাছের লাঠি বের করে প্রত্যকের হাতে একটি করে ধরিয়ে দেই যুব ফোরামের কর্মী রতœ জ্যোতি চাকমা, সুমন চাকমা, মলয় কিশোর চাকমা ও মিঠুন চাকমা। এর পর উপস্থিত লোকজন সবাই নিশ্চুপ হয়ে যায়। তারা চুপি চুপি বলাবলি শুরু করেছে যে, আমরা যদি আগে ভাগে জানতাম মোটেই আসতাম না। তারা বলাবলি করছে, আমরা পাবলিক মানুষ কেন শুধু শুধু তাদের দলীয় ঝামেলার সাথে আমরা জড়িয়ে যাবো। অনেকেই আমতা আমতা মনমরা মনমরা ভাব দেখাচ্ছে। আবার অনেকেই মাথা নিচু করে কাউকে কিছু না বলেই পালিয়ে গেছে। এমন ভাব দেখে অক্ষয় তার সাথে থাকা ৪ জন অস্ত্রধারীকে নির্দেশ দিলেন বন্দুক সেম্বার করো। যারা যারা বাঘাইহাট বাজারের দিকে যাবেনা তাদেরকে এখান থেকে নিয়ে ঐ দিকে নিয়ে যাও। সেখানে নিয়ে এমন ভাবে ধলাই দিবা যেন তার বাপের নামও ভুলে যায়। এ কথা শুনে উপস্থিত লোকজন (নারী ও পুরুষ) ভয়ে শ্লোগান ধরে ফেলেছে। তখন সবাই বাঘাইহাট বাজারের দিকে গিয়ে আস্থানাতে হামলা করবে বলে রাজি হয়। মিশিল যখন বনানী বন বিহার গেইট থেকে শুরু হয় সে আগে থেকে বাঘাইহাট বাজারের আশে পাশে ইউপিডিএফের ৫০/৬০ জন অস্ত্রধারী সাদা পোশাকে অবস্থান নেই বাঘাইহাট গুচ্চগ্রাম ও বাইবাছড়া গ্রামে। আবার মিশিলের মাঝখানে আর পিছনে সাদা পোশাকে ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী গামছায় মোড়ানো অবস্থায় অস্ত্রগুলো ঝুলিয়ে নেই। এমন ভাবে নেয়া হয় যেন দূর থেকে কেউ দেখলেও চিনতে না পারে। ইউপিডিএফের নারী সংগঠনের কর্মীরাও অংশ নেই। এছাড়া তাদের সংগঠনের কর্মীদের ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীদেরকেও মিশিলে যোগদান করতে বাধ্য করেন। মিশিল যখন বাঘাইহাট বাজারের আশে পাশে গিয়ে পৌঁছায় তখন ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মিশিলের সাথে থাকা অস্ত্রধারীরা। তখন বড় বড় করে বলা শুরু করেছেন যে, আমরা এসে গেছি, তোমরা এখন পালাবি কোথায়। তখন মিশিল কারীরা বড় বড় করে শ্লোগান দিতে থাকেন এবং জেএসএস ও গনতান্ত্রিক দলের নিরস্ত্র কর্মীদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

এরপর কি ঘটেছিল ?
তখন সময় দুপুর ঠিক ১১ বা ১২ টা। মিছিলকারীরা যখন দুই দলের নিরস্ত্র কর্মীদের অবস্থানে পৌঁছায় তখন বড় বড় করে শ্লোগান দিয়ে ওয়ালের উপর আর ছাদের উপরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। বাড়ির দরজা জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। সে আশে পাশে কয়েকটি খাবার হোটেল ও আবাসিক হোটেল এবং দোনপাটের উপর লাঠি সোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে। তখন ভয়ে দুই দলের কর্মীরা কিছুক্ষণের জন্য নিরব হয়ে যায়। তবুও মিছিলকারীরা হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ থামাইনি। এভাবে বেশ কয়েক দফা হামলা করে দুই দলের কর্মীদের উপর। তখন দুই দলের নিরস্ত্র ঐ কর্মীরা অসহায় হয়ে পরে। প্রকাশ্য দিবালোকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে এমন হামলার পরও দুই দলের কর্মীদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
বিকাল ২টা। বেশ কয়েক দফা হামলার পর আক্রমণকারীরা যখন ক্ষুধায় নাজেহাল হয়ে বাড়ি ফিরছিল ঠিক সে সময় ইউপিডিএফের অস্ত্রধারীরা হামলাকারীদের রাস্তা ব্কলক করে আবারো দুই দলের নিরস্ত্র কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পরার নির্দেশ দেয়। আবারো মিছিল থেকে শ্লোগান দিতে দিতে দুই দলের অবস্থানে পৌঁছলে মনোবল ফিরানোর জন্য ইউপিডিএফের সশস্ত্র গ্রুফের কমান্ডার বিপ্লব চাকমা ও রমেশ চাকমা প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। তারপরও দুই দলের কর্মীদেরকে তাদের জায়গা থেকে বের করে আনা সম্ভব না হওয়ায় রাস্তার উল্টা দিকে গিয়ে ইউপিডিএফ কমান্ডার বিপ্লব চাকমা, রমেশ চাকমা ও কমান্ডার রুমি চাকমা বাড়ির জানালার উপর ও মেইন গেইট এবং দরজার উপর মুহু মুহু ব্রাশ ফায়ার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা মনে করেছিল উল্টা দিক থেকে আক্রমণ করলে মেইন দরজা দিয়ে অবশ্যই পালিয়ে যাবে। তখন ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনে হামলাকারীরা মনে করেছিল অপরদিক থেকে তাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ভয়ে তারা দিক বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা প্রাণ বাঁচাতে দুই দলের কর্মীদের উপর হামলা না করে বাঘাইহাট বাজার ত্যাগ করে চলে যায়। বনানী বন বিহার গেইটে গিয়ে যখন জানতে পারে যে তাদের মিছিলের সঙ্গী সশস্ত্র গ্রুপের লোকজন উল্টা দিকে গিয়ে ব্রাশ ফায়ার করেছিল তখন তারা আপসোস করেছিল যে ইস! সেটা যদি জানতে পারতাম তখন দরজা জানালা ভেঙ্গে বের করে নিয়ে আসতে পারতাম।
অথচ হামলাকারীরা জানেনা যে নিজেদের গুলিতে ততক্ষণে ১ জন নিহত, আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা:-
একজন বাঙালী ও দুই জন পাহাড়ী। (নিরাপত্বার কারণে নাম প্রকাশ করা হলোনা) তারা ঘটনার বর্ণনা দিলেন ঠিক এভাবে। ইউপিডিএফ তাদের সশস্ত্র কর্মী ও সাধারণ লোকজন জড়ো করে দিন ব্যাপী হামলার পর দুই দলের কর্মীদের যখন বের করতে পারেনি তখন সর্বশেষ ইউপিডিএফ এর ৪ জন অস্ত্রধারী ও ৮০/৯০ জন নিরস্ত্র হামলাকারী আবারো ঐ বাড়িতে থাকা কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। আক্রমনের এক পর্যায়ে বেশ কয়েকবার ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনতে পাই। আমরা তখন দোকানের ভিতরে অবস্থান করছি। উপর্যপরি যখন ব্রাশ ফায়ার হচ্ছে তখন আমাদের মধ্যেও ব্যাপক ভীতি এসেছিল। তখন আমরা দোকানের খাটের নিচে ঢুকে গেছি। ব্রাশ ফায়ার যখন থেমে যায় তখন বের হয়ে দেখি ২/৩ জন পাহাড়ীকে (চাকমা) পাজাকোলা করে বেশ কয়েক জনে ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আবার বেশ কয়েকজন মহিলা কান্নাকাটি করে দৌঁড়ে দৌঁড়ে যাচ্ছে। আর অস্ত্রধারী ৪ জনকে দেখেছি তাদের মূখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। তবে অস্ত্রগুলো উচিয়ে যেতে দেখেছি। তারা ঐ আহতদেরকে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তারপর তারা ঐ ঘটনাস্থলের দিকে গিয়ে দেখে একটা বাঙালি ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছে। তখন তাকে ধরাধরি করে সিএনজিতে তুলে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছি।

হতাহত:-
প্রত্যক্ষদর্শী ও সূত্রমতে জানা গেছে, গতকাল ইউপিডিএফের পরিকল্পনায় বাঘাইহাটে সাজানো হামলায় ১ জন বাঙালি নিহত ও ১২ জন পাহাড়ি আহত হয়েছেন। নিহত বাঙালির নাম মো-নাঈম (৩০), তার বাড়ি- জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলায় বলে জানা গেছে।
যারা আহত হয়েছেন তারা হচ্ছেন- রিপনা চাকমা (৩৭), অরুন চাকমা (৩০), বিনয় চাকমা (৪০), সুরন চাকমা( ৩০), দেব রঞ্জন চাকমা ( ৪৫), মনিষা চাকমা (১৩), সাধন চাকমা (৪৫), মিতা চাকমা ( ৩০), সবিনয় চাকমা( ৩২), চিক্কো চাকমা (৩০), সোনামনি চাকমা( ২৫), ধুলেয়ি চাকমা( ৩৫)। তাদের সবার বাড়ি সাজেক ইউনিয়নে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া:-
পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু) সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা তার ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ইউপিডিএফের কাজ অতীত হতে বর্তমান পর্যন্ত আমরা তাই দেখছি। বাঘাইহাট বাজারে হামলা করতে এনেছে তাদের কিছুই হবেনা বলে। কিন্তু যারা এসেছে তাদেরকে ভিডিও করে প্রচার করে দিচ্ছে। এখন তাদের কি হবে। তারা তো এখন দুই দলের কাছে নিরাপত্বাহীনতায় থাকবে। ইউপিডিএফ বাঘাইহাটের ঘটনাটি এভাবে না করলেই পারতো। তারা যে কাজটি করেছে সেটি নিন্দনীয়।
বাঘাইহাট বাজারের ব্যবসায়ী দ্বীন ইসলাম বলেন, ইউপিডিএফের কাছ থেকে আমরা এ ধরনের ন্যাক্কার জনক কাজ আশা করতে পারিনা। এই এলাকাটা তো তাদের কোন কেনা জায়গা না যে এখানে এসে কেউ থাকতে পারবেনা। ইউপিডিএফের তা বুঝতে হবে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন, আমরা তো অসহায়। অস্ত্রের কাছে কেউ কথা বলতে পারিনা। অস্ত্রধারী যারা তাদের কথায় আমাদের চলতে ফিরতে হয়। আমরা যেহেতু ইউপিডিএফের ডেরার মধ্যে আছি তাদের কথা শুনতে হবে। তবে বাঘাইহাটের ঘটনাটি তারা এভাবে না করলেই পারতো।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, বাঘাইহাটের ঘটনাটি নিন্দনীয়। আমরা এ ধরনের ঘটনা কামনা করিনা। ইউপিডিএফ থেকে আমরা এমন আশা করতে পারিনা।

Tags: , , , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

পিসিপি’র ২১তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও প্রতিনিধি সম্মেলন উনুষ্ঠিত
সাজেকের বাঘাইহাটে ইউপিডিএফ প্রসীতপন্থী কর্তৃক সাধারণ জনগণের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ, নিহত-১ ও আহত-১২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu