ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, সিএইচটি ভ্যানগার্ড
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত) সশস্ত্র গ্রুফের কেন্দ্র দখলের মহড়া চলছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারীর দাবী।
রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অলিভ চাকমার সমর্থনে জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত) পৃথক ভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র তৎপরতা বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এতে উপজেলার সাধারণ ভোটাররা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ’র (প্রসিত) অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপর থাকলেও উপজেলা প্রশাসন সুষ্ট নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ও ভাইবোনছড়া কেন্দ্র এবং বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বঙ্গলতলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপিডিএফ(প্রসিত) গ্রুফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে মহড়া চলছে। অপরদিকে সাজেক ইউনিয়নের নিউ লংকর, কংলাক, বেটলিং, তুইচুই, শিয়ালদাইলুই, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের ভালুকমারা, খেদারছড়া এবং বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের দোসর, মোরঘোনাছড়া , নিউলাইল্যাঘোনা ও বাঘাইছড়ি আর সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজক, খাগড়াছড়ি ও নবপেরাছড়া কেন্দ্র এলাকায় জেএসএস (সন্তু) গ্রফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এসব কেন্দ্রের আশে পাশে সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে হলো সশস্ত্র অবস্থায় সামরিক ড্রেস পড়ে তৎপরতা দেখাতে পারলে সাধারণ ভোটারদেরকে চাপে রাখা যাবে। ভোটারদের মাঝে একটা ভয় ও আতঙ্ক কাজ করবে। সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাদের সমর্থিত প্রার্থী অলিভ চাকমাকে আনারস মার্কায় ভোট আদায় করে নেয়ার একটি কৌশল বলে সুত্র জানিয়েছে। এসব অস্ত্রধারীরা শুধু মহড়াতেই সীমাবদ্ধ নেই। এলাকায় অলিভ চাকমার পক্ষে যেসব ভোটার ভোট দিবে না বলে সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকে ডেকে কড়া ভাষায় হুমকিও দিচ্ছে। এমনকি ভোটের দিন ব্যালট পেপার বাক্সে ঢুকানোর আগে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে তাদেরকে দেখিয়ে নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে। এছাড়া ভোটের দিন অলিভ চাকমার প্রতীক আনারস মার্কা ব্যাতিত প্রতিদ্বন্ধী অপর প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে প্রমাণ হলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে। দুই দলের সশস্ত্র এ গ্রুফটির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অলিভ চাকমা ছাড়াও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিখিল জীবন চাকমা ও সুমিতা চাকমাকে সমর্থন দিয়েছে। একইভাবে তাদেরকেও ভোট দিতে হবে বলে জানিয়ে দিচ্ছে।
কেন্দ্র দখল নিতে কমিটি গঠন:-
ইউপিডিএফ (প্রসিত) নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যেসব ভোট কেন্দ্রগুলো রয়েছে সেগুলো দখল করে জাল ভোট প্রদানের জন্য কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউপিডিএফের বঙ্গলতলি এলাকার পরিচালক আদিক্ক্যা চাকমা ও সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমাকে বঙ্গলতলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মাচালং এলাকার পরিচালক তথা সশস্ত্র বিভাগের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত এ্যাকশন চাকমাকে মাচালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র আর সাজেক এলাকার পরিচালক সুমেধ চাকমা ওরফে অল্যা ওরফে অক্ষয়কে ভাইবোনছড়া সরকারী প্রাথমিক ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে একই কায়দায় জেএসএস (সন্তু)ও এভাবে দায়িত্ব বন্টন করেছে। জেএসএস (সন্তু) নিয়ন্ত্রিত সাজেক ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলো দুর্গম হওয়ায় সেখানে সাজেক এলাকায় সশস্ত্র বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার অভিযান চাকমা ওরফে আলো’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমান্ডার আলো’র নেতৃত্বে ছোট ছোট গ্রুফে ভাগ হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় কেন্দ্র দখল করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- তুইচুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেটলিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালদাইলুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কংলাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউ লংকর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এছাড়াও বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে মোরঘোনাছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুশীল চন্দ্র তালুকদার, দোসর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কুসুম চাকমা ও নিউ লাইল্যাঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিপর্শী চাকমা ও মেকিও চাকমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সারোয়াতলী ইউনিয়নের শিজক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিক চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মন্টু চাকমা ও নবপেরাছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাঘাইছড়ি থানা শাখা পিসিপি সভাপতি পিয়েল চাকমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমতলি ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে সুমেধ চাকমাসহ তার টিমকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। মারিশ্যা ইউনিয়ন ও রুপকারী ইউনিয়নে সশস্ত্র বিভাগের সহকারী কোম্পানী কমান্ডার পুলক জ্যোতি চাকমা ওরফে জুনপহর, শান্তি বিকাশ চাকমা ওরফে মজাক ও খোকন চাকমা ওরফে গরম বাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। খেদারমারা ইউনিয়নে সশস্ত্র গ্রুফের কমান্ডার জুপিটার চাকমা বাপ্পী ও ধন বিকাশ চাকমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তালিকা অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভোটের সময় ও অবস্থা বুঝে কেন্দ্র দখল করবে আর জাল ভোট দিয়ে বাক্স ভরে দিবে।
ভোট কেন্দ্রে পছন্দের প্রিজাইডিং অফিসার:-
নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে জয় নিশ্চিত করার জন্য জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত) দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুফের ইন্ধনে অলিভ চাকমা জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগসাজশ করে ভোট কেন্দ্রে পছন্দের প্রিজাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে জেএসএস (সন্তু) সমর্থিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। যেমন- শিজক কলেজ, শিজক উচ্চ বিদ্যালয়, সারোয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও উগলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অধিকাংশ অলিভ চাকমার আত্মীয়-স্বজন। অথচ বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী অভিজ্ঞ এবং চৌকস অনেক অফিসার ও শিক্ষক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বাদ দিয়েছেন।
রিটানিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের পক্ষপাতমূলক আচরণ:-
নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের আচরণ ও কার্যক্রম পক্ষপাতমূলক বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই দিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অলিভ চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিখিল জীবন চাকমা ও সুমিতা চাকমা ব্যতিত অপর প্রার্থীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক কথা-বার্তা বলেছেন। বঙ্গলতলি, সাজেক, বাঘাইছড়ি, সারোয়াতলী ইউনিয়নে জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত) সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুফ কর্তৃক চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদর্শন চাকমার নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাতে নানাভাবে বাঁধা সৃষ্টি ও হুমকি প্রদান করার প্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী অলিভ চাকমার কাছ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ:-
দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী অলিভ চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিখিল জীবন চাকমা ও সুমিতা চাকমার কাছ থেকে নির্বাচনি সুবিধা দেওয়ার শর্তে মোটা অংকের অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগের ব্যাপারে বস্তুনিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া না গেলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্বাচনি কার্যক্রমে অভিযোগের সত্যতার ধরণ মিলেছে। একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, টাকার পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকা (অলিভ চাকমা থেকে ১৫ লাখ, ভাইস চেয়ারম্যান নিখিল জীবন চাকমা থেকে সাড়ে ৭ লাখ ও সুমিতা চাকমা থেকে সাড়ে ৭ লাখ ) রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে এই তিন প্রার্থীর পক্ষে তার অবস্থান রেখে অপর প্রার্থীদেরকে দৌঁড়ের উপর রেখেছে এবং তাদের কোন অভিযোগ আমলে নেইনি। জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সমর্থিত প্রার্থী অলিভ চাকমা টুনকো অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাজেকে ডাকা অবরোধের কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিত করতে জনাব সাখাওয়াত হোসেন যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। অথচ, প্রার্থী ও ভোটাররা ভোগান্তি থেকে বাঁচতে অবরোধস্থল সাজেক ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্র স্থগিত রেখে বাকি ১ টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ যৌক্তিক ছিল বলে বাঘাইছড়ির সচেতন মহল মনে করেন।
সাজেক ও বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষনিক নজদারিতে ভোট গ্রহণের দাবী:-
অত্যন্ত দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা সাজেক ও বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের যে ভোট কেন্দ্রগুলো রয়েছে সেগুলোতে ভোটের দিন সার্বক্ষনিক নজরদারিতে ভোট নেওয়ার দাবী জানিয়েছে বাঘাইছড়ির সচেতন মহল। সাজেক ইউনিয়নের মধ্যে মাচালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ভাইবোনছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, তুইচুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বেটলিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, শিয়ালাইলুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কংলাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, নিউ লংকর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এছাড়াও বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের মোরঘোনাছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও দোসর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। কারণ, উক্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণের পরিদর্শন করার কোন সুযোগ নেই। তাই সে সুযোগটি জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত) দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুফ অস্ত্র টেকিয়ে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিবে বলে বিশ্বস্থ সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেজন্য কেন্দ্রগুলো অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত করে জাল ভোট প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন সার্বক্ষনিক নজরদারিতে বিশেষ ব্যবস্থায় ভোট নেওয়ার দাবী উঠেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন থেকে অপসারণের দাবী:-
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার দাবী করেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদর্শন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কাইয়ুম, আনোয়ার হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাগরিকা চাকমা। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা তার অধীনে নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। তাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে অভিজ্ঞ নিরপেক্ষ ও বিশ্বস্থ রিটার্নিং অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ২৯/৫/২৪ ইং তারিখে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমেলের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন নিধারিত তারিখে নির্বাচন স্থগিত করেন। এরপর পরবর্তী ৯/৬/২৪ ইং তারিখে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অজুহাত দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন।