ভ্যানগার্ড ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। আজ ২০শে মে ২০২১ইং সংগঠনটির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
১৯৮৯ সালের ৪ঠা মে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদুতে সেটেলার বাঙ্গালীরা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় জুম্মদের উপর নির্মম হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক ৪টার সময়ে লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকারকে তার অফিসের সামনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। সেটেলার বাঙ্গালীরা এর দায় চাপিয়ে দেয় শান্তিবাহিনীর উপর এবং দুই-আড়াই ঘন্টা পর জুম্মদের গ্রামে প্রতিশোধমূলক হামলা করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর তৎকালীন রিপোর্ট অনুযায়ী এই হামলায় ৩৬ জন জুম্ম নারী-পুরুষ ও শিশু মারা যায়। প্রকৃতপক্ষে নিহতের সংখ্যা ২০০ এর অধিক বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। এ হামলায় কমপক্ষে ৬টি গ্রামে শত শত ঘরবাড়ি, অসংখ্য বৌদ্ধ মন্দির ও খ্রীস্টানদের দুটি গীর্জা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সহায় সম্বলহীন জুম্মদের একটি বিরাট অংশ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পাড়ি জমায়।
এ হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৯৮৯ সালের ২০শে মে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত জুম্ম শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) রশিদ হলের ২০০২ নং রুমে মিলিত হয়ে গঠন করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। এবং ২১শে মে লংগদু গণহত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে একটি মৌন মিছিলের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে জুম্ম ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনের। প্রতিষ্ঠার পর হতে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সংগঠনটি আজ ২০শে মে ২০২১ ইং ৩২টি বছরে পদার্পণ করেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন বিষয়ে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা করোনার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সীমিত করেছেন বলে জানিয়েছেন।