বার্তাকক্ষ
টানা বৃষ্টির কারণে ১৮ দিনের ব্যবধানে আবারও বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে বিপর্যস্ত খাগড়াছড়িবাসী। চলতি মৌসুমে চতুর্থ বারের মত বন্যা দেখা দিয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যায় প্লাবিত অঞ্চলের পানিবন্দিদের জন্য প্রায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে । খবর ইন্ডিপেনডেন্ট, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সূত্রে।
এ ছাড়াও চেঙ্গী নদী ও মাইনি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চেঙ্গী নদীর দু-কূল উপচে পৌর এলাকায় এবং পৌর এলাকার বাইরে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের অনেক স্থান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে, মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়কে পাহাড় ধ্বসে কারণে কয়েকটি জায়গায় যানবাহন চলাচলের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, রাস্তা ঢেবে গিয়ে বড় বড় খাদ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশ ভেঙে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে। মহালছড়ির সিঙিনালা কাপ্তাইপাড়া সড়কের ব্রিজটি ভেঙে মহালছড়ি সদর ও মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
খাগড়াছড়ির শহর তলীর এলাকা থেকে পানি নেমে গিয়েছিল গতকাল । তবে আজ সারাদিনও কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েছেন।
খাগড়াছড়ির পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘বন্যা দুর্গতদের জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২ হাজার ৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’
তবে এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার পানি ডুবে আছে মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম। এদিকে পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
মেরুং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বন্যা দুর্গতদের শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে। মাইনী নদীর পানি না কমায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখনো মেরুং বাজার পানির নিচে।’