ভ্যানগার্ড ডেস্ক
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচরের আলোচিত ৬ হত্যাকান্ডের ৫ বছর আজ।
২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তার সঙ্গে থাকা অপর জেএসএস নেতা রুপম চাকমা গুলিবিদ্ধ হন।
পরদিন ৪ মে অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে অংশ নিতে জেএসএস ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের প্রায় ৩শত নেতাকর্মী গাড়ি যোগে নানিয়ারচর যাচ্ছিলেন। নানিয়ারচরের কাছাকাছি ১৭মাইল এলাকায় পৌঁছলে গাড়ি বহরে উপর্যুপুরি ব্রাশফায়ার করে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। নিহত হন গণতান্ত্রিক ইউপিডিফের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা (বর্মা), জেএসএস নেতা সাধন চাকমা, মহালছড়ি যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা, যুব সমিতির সেতু চাকমা, যুব সমিতির টনক চাকমা ও গাড়ি চালক মো. সজীব ।
আলোচিত এই হত্যাকান্ডের ৫ বছর পূর্ণ হলেও মূল অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ হত্যাকান্ডের মামলায় সন্ত্রাসী দল প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের গুটিকয়েক নেতাকর্মী আটক হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী রাজত্বের গডফাডার প্রসীত বিকাশ খীসা, রবিশংকর চাকমারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর হতে প্রসীত বিকাশ খীসা ও রবিশংকর চাকমাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ইউপিডিএফ কর্তৃক হাজার হাজার প্রত্যাগত শান্তিবাহিনীর সদস্যকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে। তারপরও সরকার এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার কিংবা তাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেনি।