দাবি পূরণে সাতদিনের আল্টিমেটাম।

দেশ

অনলাইন ডেস্ক

বিক্ষুদ্ধ আদিবাসী জনতার বিক্ষোভ

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর২০২০) বাসন্তী রেমার কলাবাগান কর্তনসহ মধুপুর গড়াঞ্চলে ইকোপার্ক-ইকো ট্যুরিজম, রিজার্ভ ফরেস্ট ও সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের নিজ বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশটি ভুটিয়া বাজার(গারো বাজার) মোড় থেকে সকাল ১০:৩০ টায় শুরু হয়ে দোখলা রেঞ্জ অফিস প্রদক্ষিণ করে দোখলা বাজার প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুয়ায়ী আজকে বাসন্তী রেমা এবং এলাকাবাসীর সাথে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের বসার কথা ছিলো। কিন্তু বিশেষ কারণে আজকের দিনটির পরিবর্তে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মিমাংসার জন্য তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

ছাত্রনেতা জন যেত্রা’র সঞ্চালনায় জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি রিচার্ড বিপ্লব সিমসাং-এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী নেতা অজয় মৃ, নারী নেত্রী জষ্টিনা নকরেক, রিচার্ড বিপ্লব সিমসাং, হেলিন যেত্রা, হেরিৎ সিমসাং, মধুপুর উপজেলা শাখার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, ১১ নং শোলাকুড়ি ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, নিউটন মাজি, গারো সংগঠনের নেতা-নেত্রীবৃন্দ এবং এলাকাবাসী। সমাবেশটি আয়োজন করেন মধুপুর গড়াঞ্চলের বিক্ষুদ্ধ আদিবাসী জনতা।

আদিবাসী নেতা অজয় এ. মৃ বলেন, দুঃখ হয় ১৯৬২ সাল থেকে এইখানে এই দোখলাতে আমরা সংগ্রাম করে আসছি। আজোও আমরা দাবি করে আসছি, এই অধিকার আমাদের আছে। আদিবাসী নেতা প্রশ্ন রাখেন , বন বিভাগ কত সালে আসছে? ১৯২৭ সালে হয়েছে বন আইন কিন্তু আদিবাসীরা শত শত বছর আগে থেকেই এখানে বসবাস করে আসছে। তাহলে কে আগে বন বিভাগ আগে না আদিবাসীরা আগে এসেছে এই অঞ্চলে? তাহলে কেন অত্যাচার করতেছেন?

তিনি আরো বলেন, বনের ভেতর শত শত জায়গা দখল করে যে অ-আদিবাসী বসবাস করছে তাদের গাছ না কেটে তাদের জমি দখল না করে কেন আদিবাসীদের গাছ কাটা হয় কেন তাদের জমি দখল করা হয়?

চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বিক্ষোভ সমাবেশের সাথে একাত্বতা পোষণ করে বলেন, আগামী ২৪ তারিখের আগে আপনারা কোনো কিছু করবেন না। ২৪ তারিখে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হবে যদি মিমাংসা না হয় তবে আপনারা যে কর্মসূচি দেবেন তার সাথে আমরা থাকবো এবং সহযোগিতা করবো।

সমাবেশে ২৪ তারিখে বাসন্তী রেমার কলাবাগান কর্তনের মিমাংসা না হলে সাতদিনের আল্টিমেটাম, অন্যথায় টাংগাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাসহ কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা করা হয়।

Tags: , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

বাসন্তীর কলাবাগান কেটে কী পেল বনবিভাগ!
আয়ের উৎস নেই, তবু অর্থ-সম্পদের পাহাড় !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu