সিএইচটি ভ্যানগার্ড
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ১০জুলাই ২০২৩ইং সোমবার সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে প্রতিনিধি দল এ আগ্রহের কথা জানায়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি বৈঠকের নানা বিষয় তুলে ধরে বলেন, ‘তারা নির্বাচনের আগে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখতে চায়। তারা নির্বাচনকালীন সময়ে আসবে। আমরা বলেছি সেটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। আর আমাদের দিক থেকে অনুরোধ করেছি এটা যেহেতু বিশেষ তিনটি জেলা সেখানে কিছু নিরাপত্তার ইস্যু আছে। যদিও এখন আগের চেয়ে অনেক অনেক ভালো।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে। আমরা বলেছি সব ধরনের সহায়তা দেবো। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় যাওয়ার বিষয়ে বলেছি, এটি দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আমরাও দেখি। আমাদের দিক থেকে সকল সাপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে বলেছি। আমাদের এই মিনিস্ট্রি প্রশাসনিক এবং ডেভলপমেন্ট মিনিস্ট্রি। নির্বাচনের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নাই। সুতরাং তাদের থাকা, পরিদর্শন করা বা চলাচল করার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা আমরা দেবো।’
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আরেকজন জানতে চাচ্ছিলেন, ২০০৮ সালে তারা যখন এসেছিলেন তখন ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছিলেন এবারও পাবেন কিনা। আমরা বলেছি ২০০৮ সালের চেয়েও ভালো এনজয় করবেন। কারণ ২০০৮ সালে যোগাযোগ ব্যবস্থা ততোটা মসৃণ ছিলো না। ওখানে গেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, আমরা বলেছি এটা যেহেতু নির্বাচন কেন্দ্রিক এটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। এটার সাথে আমরা সম্পৃক্ত না।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সরকারের আমন্ত্রণে তারা এসেছে। নির্বাচন বিষয়ে অভজারভার হিসাবে এসেছে, এটিই তাদের উদ্দেশ্যে। আমরা বলেছি এটা যেহেতু তাদের নির্বাচন কেন্দ্রিক ভিজিট, এটি তারা নির্ধারণ করে দেবে। এটি আমাদের পার্ট না। তারা কবে ভিজিট করবে সেটি জানাননি। আমরা বলেছি তারা আমাদের মেহমান সকল ধরনের প্রশাসনিক হেল্প আমরা করব। সেখানে তারা কি করবে না করবে, সেটি দেখবে নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি, এখানে স্থানীয় প্রশাসন আছে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সেনাবাহিনী আছে। সুতরাং তারা যাতে নিরাপত্তার ইস্যুটি মাথায় রাখে সেটি বলেছি।’
সূত্র: www.independent24.com