ঢাকা প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে ঢাকায় “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে চুক্তি বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলুন” শীর্ষক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২রা ডিসেম্বর ২০২৪ইং উদযাপন কমিটি, ঢাকার উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রতিভাস চাকমার সঞ্চালনায় এবং আহ্বায়ক অমর সিং চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি প্রত্যয় চাকমা (জকি), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অমল চাকমা, জেএসএস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রীতিময় চাকমা (যুগল), বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
সমাবেশে আদিবাসী শ্রমজীবী সমিতি, সাভার, ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দরাসহ ঢাকায় অবস্থানরত পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসী ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকাল ১০ ঘটিকার সময় রাজু ভাস্কর্য পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল আপামর সাধারণ বাংলাদেশীরা তার ব্যতিক্রম নয় পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মজনগণও। চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী বিগত ২৬টি বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসীন থাকলে চুক্তির মৌলিক ধারাগুলোর বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু চুক্তির পূর্ববর্তী অবস্থার মতো এখনও সামরিক শাসনের মধ্যে দিনাতিপাত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভূমি, সেটলার সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এখনও বহুলআকাঙ্খিত শান্তির দেখা মেলেনি। তাই দেশে যখন বৈষম্যহীন নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলা হচ্ছিল এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে যখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলো তখন আবারও নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর পরই একই স্বার্থান্বেষীমহল পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ইন্দন দিয়েছে, সেনাবাহিনীর গুলীতে রক্ত ঝড়েছে সাধারণ ছাত্রদের।
সমাবেশ থেকে চুক্তি বিরোধী সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ঘোষণা দেওয়া হয়।