ভ্যানগার্ড ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছেন, ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা চালাচ্ছে দুই দেশ এবং এতে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখছে দুই দেশই। অনলাইন সম্মেলনের সময় চীনের সঙ্গে চলা এই আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আলোচনা চলছে।’
ব্লুমবার্গ ইন্ডিয়া ইকোনমিক ফোরামের সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন, আলোচনা চলছে, দুই দেশের মধ্যে এটি একটি গোপন বিষয়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সীমান্ত সমস্যার আলোচনা এবং তার ফলাফল নিয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। আগে থেকে অবশ্যই এই আলোচনার পরিণতি নিয়ে কিছু অনুমান করতে চাই না।
তিব্বতের পরিস্থিতি এবং বাস্তবে নিয়ন্ত্রণ রেখার উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত, যার স্পষ্টতই লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার, ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং আগামীদিনেও থাকবে। এই দৃঢ় বার্তার মাধ্যমে চীনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ভারতের এই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা ও অন্য কোনও দেশই যেন মন্তব্য না করে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) ভারতের দিকে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে চীনের আপত্তির পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। বলা হয়েছে যে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার মত চীনের কোনও অধিকার নেই।
পররাষ্ট্র মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান যে, এই বিষয়ে চন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এবং তারা লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অঙ্গ হিসেবে মনে করে না।
শ্রীবাস্তব একটি সংবাদিক সম্মলনে বলেন, ‘এ নিয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরই পরিষ্কার ও অভিন্ন। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং থাকবে। চীনের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই। আমরা আশা করি যে দেশের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করবে না চীন।’
তথ্যসূত্রঃ সময় টিভি।