খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
গতকাল (১৫ জানুয়ারি, বুধবার) ঢাকায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ কর্মসূচিতে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়া, শাপলা চত্বর ঘুরে ফের চেঙ্গী স্কয়ারে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশে উক্যনু মারমার সঞ্চালনায় এবং হ্লাব্রে মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাবু চাকমা, তুষিতা চাকমা, নেপোলিয়ন চাকমা, নয়ন ত্রিপুরা, নিশান চাকমা, মংসাই মারমা, অংশোয়েসিং মারমা প্রমুখ।
তুষিতা চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সবখানেই আমাদের আদিবাসীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছোট করা হচ্ছে। নানাভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে। আদিবাসীদের নিয়ে গ্রাফিতি করেছি, তা ওরা রাখতে দেয়নি। আমরা আদিবাসী, আমাদের সেই প্রমাণ আছে। আমরা যুগ যুগ ধরে এই পাহাড়ে বসবাস করছি।”
বাবু চাকমা বলেন, “হামলাকারীরা লাঠির মাথায় বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এদেরকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।” “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমরা এই বৈষম্যের বাংলাদেশ চাইনি। আমরা বৈষম্যহীন একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলাম।”
নিশান চাকমা তাঁর বক্তব্যে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানসহ অবিলম্বে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি পুনর্বহাল করে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার দাবী জানান।
সমাবেশ থেকে “সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা”র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নৃশংস হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা; হামলায় আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার সরকার কর্তৃক বহন করা; পাঠ্যপুস্তক থেকে বাতিলকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি পুনর্বহাল করা; আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী জাতিসমূহের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরা এবং সংবিধানে সকল আদিবাসী জাতিসমূহের স্বীকৃতি দিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানানো হয়।