ভ্যানগার্ড ডেস্কঃ
ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তে ৩০ টি অত্যাধুনিক AK-47 অস্ত্র ও ৮ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ সহ ৩ জন কে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আকটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাংলাদেশের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের ত্রিপুরা-মিজোরাম আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে এ বছরের সবচেয়ে বড় অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান ৯০ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের আইযলের প্রধান ডিআইজি কুলদীপ সিং এই অস্ত্র চালানটি আটক করেন।
আকটকৃত গাড়ির নাম্বার- Mahindra Thar (MZ-01K-5262) & Mahindra Pickup (MZ-01L-4949)। আটককৃতরা হলো লালযওবা (৫৬) Lalhuapzauva (56), বানলাললুওতা (২৫) Vanlalruata (25) and লিসাঙয়া (৪৬) Liansanga (46).
আটককৃতদের তথ্য অনুযায়ী এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাংলাদেশের পাহাড়ি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে ( ইউপিডিএফ)’র বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এর আগেও বহুবার এ দলটি এভাবে অস্ত্রের চালান বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে নিয়েছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আজ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, এই তিন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরা চালানের র্যাকেটের অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিএসএফের গোয়েন্দা শাখার মিজোরাম ব্রাঞ্চের কাছে খবর ছিল ফুল্ডুংছে অঞ্চল দিয়ে বড় একটি অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান বাংলাদেশে ঢুকবে। সে তথ্য অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে এইসব অস্ত্র জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে এই অস্ত্রের চালান আটক হলো। ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তের ফুল্ডুংছে নামক জায়গায় ত্রিপুরার শেষ গ্রামে মিজোরামের নম্বর প্লেট বহনকারী দুটি গাড়ি আটক করে তল্লাশির মাধ্যমে ৩ যুবক ও এসব অস্ত্র গোলাবারুদ আটক করা হয়।
আটককৃত যুবকরা কোন দেশের তা সঠিক তথ্য জানা না গেলেও মিজোরামের বলে ধারনা করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ অস্ত্রের চালানটি বাংলাদেশের সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের।
কোভিড ১৯ এর ভয়াবহতার কারনে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন থাকায় চালানটি বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। ইউপিডিএফের প্রধান অস্ত্র সংগ্রাহক পানছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমার ভাগিনা সামরিক কমান্ডার সমাজ প্রিয় চাকমা (প্রতীক) এ চালানটির তদারকির দায়িত্বে ছিল। তিনি লকডাউনের আগে মিজোরামে এ অস্ত্রের চালানটির ব্যাপারে গিয়েছিলেন। এর আগেও একই সড়ক দিয়ে প্রতীক বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে অস্ত্রের চালান নিয়ে আসে।