সিএইচটি ভ্যানগার্ড, বান্দরবান

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম কর্তৃক উপজেলার থানচি সড়কে অবস্থিত স্থানীয় জুম্মদের ব্যাপক ভোগদখলীয় ও জুম ভূমি বেদখল এবং সেটেলার বাঙালিদের নিকট অবৈধ ভাবে সেসব ভূমি বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, আলীকদমের থানচি সড়কের ১০ কিলো সেনা ক্যাম্পের পর হতে ২০ কিলো পর্যন্ত উক্লিনং পাড়া, সোনং পাড়া, ধর্মচর পাড়া, দমচিং পাড়া, প্রভাত পাড়া, মেন কারবারি পাড়াসহ আরো অনেক গ্রাম রয়েছে। যেখানে ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের যুগ যুগ ধরে ভোগদখলকৃত প্রায় ১ হাজার একরের অধিক পরিমাণ ভূমি রয়েছে। যেসব ভূমিতে তাঁরা যুগ যুগ ধরে বাগান-বাগিচা ও জুমচাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
২০১১ সালে ভূমিদস্যু বদিউল আলমের নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী জোরপূর্বকভাবে আলীকদম উপজেলার ২৯১ নং তৈফা মৌজাধীন জুম্মদের উক্ত ভূমিসমূহ বেদখল করে। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম ও অন্যান্য আদিবাসী নেতাদের সহযোগীতায় স্থানীয় জুম্মরা ঐ ভূমিসমূহ বদিউল আলম নেতৃত্বাধীন ভূমিদস্যু চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করেন। এরপর থেকেই এসব ভূমি উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের দখলে রেখেছিলেন।
সম্প্রতি স্থানীয় জুম্মরা অভিযোগ করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম ইচ্ছেমত বহিরাগত সেটেলার বাঙালিদের নিকট ভূমি বিক্রয় শুরু করেছেন। সম্প্রতি আলীকদম থেকে থানচি সড়কের উক্ত এলাকার উভয় পাশে অনেক বহিরাগত বাঙালি ভূমি বেদখল ও ক্রয় করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের বাগান সৃজন করছেন।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, বিগত বছরে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম এই জিম্মি করে রাখা পাহাড়ি ভূমি ও বন থেকে প্রতি বছর অনেক টাকার গাছ বিক্রি করেন। গত বছরে তিনি পান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আলীকদম উপজেলা থানা শাখার এক নেতা মো: উমর ফারুকের নিকট ৫/৬ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি করেছেন। এছাড়াও আলীকদম থানচি সড়কের পাশে ১২ কিলো এলাকায় কটেজ নির্মাণ করার জন্য পাহাড় কেটেছেন।