আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবীতে ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক

পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, রাষ্ট্র সংস্কারে আদিবাসীদের মূল্যায়ন, অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান এবং ৮ দফা দাবি পূরণের দাবিতে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন এর আহ্বানে খাগড়াছড়িতে ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ শিরোনামে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশে খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি সদর থানা সংলগ্ন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ঘুরে এসে চেঙ্গী স্কয়ারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিপন চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক্যাসিং মারমা, কৃপায়ন ত্রিপুরা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন – বিগত সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দলগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের চিহ্নিত করতে গিয়ে কখনও উপজাতি, কখনও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইত্যাদি অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করেছিল। গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে স্বৈরশাসকের পতনের পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নোবেল জয়ী ড. ইউনুস তাঁর জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্যে আদিবাসী হিসেবে সম্বোধন করাই আদিবাসীরা আশাবাদী হয়েছেন তাঁদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে শুধু মাত্র কথার মধ্যে আটকে না থেকে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

“চুক্তি (পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি) মোতাবেক স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন না হয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে সদস্য, চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলে – জেলা পরিষদ ঘেরাও এর ঘোষণা” – সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন এর ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে।

এর আগে বিবৃতির মাধ্যমে ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকরিতে ৫% কোটা বহাল রাখা, চুক্তি মোতাবেক ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে জেলা পরিষদের নির্বাচন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সাহিত্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি, পার্বত্য চট্টগ্রামকে সরকারি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পানিশম্যান্ট জোন হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করাসহ ৮ দফা দাবী জানানো হয়।

Tags: , ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাঃ নিহত ৪, আহত ৭০
ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র ৮৫ তম জন্ম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu