ভ্যানগার্ড ডেস্ক
বান্দরবানে আলোচিত সিক্স মার্ডার ঘটনার ১ বছর আজ। ২০২০ সালের আজকের এই দিনে (৭ জুলাই) বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে আলোচিত এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের মে মাসের দিকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমার (প্রজিত, বিধু) নেতৃত্বে ৮/৯ জনের একটি দল সেখানে যায়। ঐ এলাকায় সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে নিরাপদ স্থান হিসেবে পিসিজেএসএস বান্দরবান জেলা কমিটির সংগ্রামী সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যাঁর তারা অবস্থান নেয়। এ খবরটি সন্তু লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছলে মোবাইল ফোনে নানা হুমকি দেয়া শুরু করে। ঘটনার কিছুদিন আগেও গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা রতন তঞ্চঙ্গ্যাঁর বাড়িতে এলোপাতারি গুলি করে চলে যায়।
এরপর ৭ জুলাই ২০২০ সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীরা কেউ দাঁত ব্রাশ করছেন, কেউ প্রাকৃতিক কাজ সারছেন, কেউ গোসল করছেন কেউবা রান্নার কাজে ছিলেন। এসময় জলপাই রঙের ড্রেস ও থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পরিহিত দুই অস্ত্রধারী বাড়ির উঠানে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতারি ব্রাশ ফায়ার করে জনসংহতি সমিতি’র দুই কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৬ জনকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত হন আরো ২ জন নেতাকর্মী।
নিহতরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র সংগ্রামী কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা (প্রজিত, বিধু- ৬৮) ; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চিংথোয়াইঅং মারমা (ডেবিট- ৫৬); পিসিজেএসএস বান্দরবান জেলা কমিটির সংগ্রামী সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যাঁ (৫০); পিসিজেএসএস মহালছড়ি থানা শাখার সদস্য রবীন্দ্র চাকমা (মিলন- ৫০); যুব সমিতির সদস্য রিপন ত্রিপুরা (জয়- ৩৫) ও যুব সমিতি’র সদস্য জ্ঞান ত্রিপুরা (৩২)। আহত হন যুব সমিতি’র নিরু চাকমা ও বিদ্যুৎ ত্রিপুরা।
এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতি’র পক্ষ থেকে ১০জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হলেও আজ পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্তু লারমার সেসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
