বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ২৯শে মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর আগামী ৯ই জুন উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের একদিন আগে আজ ৮ জুন ২০২৪ ইং নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা দেখিয়ে নির্বাচন দ্বিতীয় বারের মত স্থগিত ঘোষণার পর উপজেলা সদরে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা বাসী।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তাঁদের উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছেন। তাই বাঘাইছড়ি বাসী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদানের জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। কিন্তু নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে জনগণের সমর্থন না থাকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাহাড়ের দুই পরাক্রমশালী রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর স্থানীয় কতিপয় নেতা-কর্মী নির্বাচনকে বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাদেরকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জোগাতে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বিশেষ সুযোগ সুবিধা নিয়ে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয়রা আরও বলেন, নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অলিভ চাকমা একজন সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি। তিনি আগে বিএনপির সাথে যুক্ত ছিলেন কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। সুযোগ সন্ধানী এবং জনগণের সংস্পর্শে না থাকায় তার পক্ষে জনসমর্থন নেই। অপরদিকে দুই দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙালী সবার কাছে একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তাই এই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা দেখে বল প্রয়োগের জন্য ইউপিডিএফ এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর স্থানীয় কতিপয় নেতা-কর্মীকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়ে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু স্থানীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা থাকায় তার এবং তাদের উদ্দেশ্য হাসীল করতে না পারায় ভাড়াটিয়া বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ভুইফোর সংগঠনের নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
সমাবেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা অবনতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করত দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঘাইছড়ি বাসীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবী জানানো হয়।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলীতে ৭ জন নির্বাচনকর্মী নিহতসহ অন্তত ১১জন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে সুদর্শন চাকমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক ইউপিডিএফ এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর সশস্ত্র দল নির্বাচনে হারার কারণে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল।