থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা

আন্তর্জাতিক

ভ্যানগার্ড ডেস্ক

জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে থাই সরকার। ব্যাংককে বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রতিহত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

পুলিশ জানিয়েছে, বেআইনিভাবে বহু মানুষকে ব্যাংককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারের দাবি, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারির বিকল্প ছিল না।

জানা গেছে, সে দেশের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের থাইল্যান্ডে ফেরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার ব্যাংককে সে দেশের রাজার গাড়িবহরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ শুরু করে বহু মানুষ। তাদের দাবি, রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি রাজা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমাতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার যেন পদত্যাগ করেন।

থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।

তবে ছাত্রদের নেতৃত্বে গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়। চলতি সপ্তাহেও দেশটির রাজধানীতে গত কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৮ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। যদিও এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।

সরকারপক্ষের লোকদের সঙ্গে বিরোধীরা যেন সংঘর্ষ না জড়াতে পারে, সেজন্য দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে চারজন ব্যক্তি একসঙ্গে বাইরে থাকতে পারবেন না। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে।

Tags: ,

এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট

অধ্যাদেশ জারির পর দেশে প্রথম মৃত্যুদণ্ডঃ ধর্ষণ।
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed

Menu