সিএইচটি ভ্যানগার্ড
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়িতে ইউপিডিএফ(প্রসীতপন্থী)- এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র থানা আহ্বায়ক কমিটির সংগ্রামী আহ্বায়ক বাবু নীলবর্ণ চাকমাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আজ ১৬মে ২০২৩ বিকাল ৪ঘটিকার সময় খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জনসংহতি সমিতি।
বিক্ষোভ মিছিলটি খাগড়াছড়ি সদরের মহাজন পাড়াস্থ সূর্যশিখা ক্লাবের সামনে হতে শহরের জিয়া মূর্তির পাদদেশ ঘুরে এসে চেঙ্গী স্কোয়ারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এতে সাবেক ছাত্রনেতা জগদীশ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি সদর থানা কমিটির সভাপতি প্রত্যয় চাকমা।
বক্তারা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে চলেছে প্রসীত বিকাশ খীসার ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। গুম, খুন, হত্যাকান্ড, চাঁদাবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। জেএসএস নেতা নীলবর্ণ চাকমাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা কোন নতুন ঘটনা নয়, তাদের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একটি ঘটনা এটি।
বক্তারা অবিলম্বে নীলবর্ণ চাকমাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চুক্তি বিরোধী কোথাও যেন স্থান দেয়া না হয় সে দাবী জানিয়েছেন।
অন্যদিকে জনসংহতি সমিতি’র কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নীলবর্ণ চাকমা হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি।
উল্লেখ্য যে, গতকাল (১৫মে ২০২৩) রাত আনুমানিক ৯টার সময় লক্ষীছড়ি উপজেলা সদরস্থ হাসপাতাল সংলগ্ন বেলছড়ির নিজ বাড়িতে ইউপিডিএফ(প্রসীতপন্থী) দলের একটি সশস্ত্র টিম হানা দেয়। এরপর উপর্যুপরি ব্রাশফায়ার করলে নীলবর্ণ চাকমার হাটুর উপড় দু’টি গুলি লাগে। এরপর কোনরকম পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন নীলবর্ণ চাকমা। ঘটনার পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।দু’টি গুলির মধ্যে একটি বের হয়ে গেছে ও একটি এখনো বিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।