ভেনগার্ড ডেস্ক, আন্তর্জাতিক
নতুন বছরে অস্ট্রেলিয়া তাদের জাতীয় সঙ্গীতের নতুন সংস্করণ নিয়ে এলো। জাতীয় সঙ্গীতে এখন থেকে ‘young and free (নবীন এবং মুক্ত)’ উল্লেখ করা হবে না। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জাতীয় সঙ্গীতের শব্দে পরিবর্তনের এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বছরের শেষ দিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) থেকে দেশটির নাগরিকরা ভিন্ন সংস্করণের জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন। পরিবর্তিত জাতীয় সংগীত গেয়ে ২০২১ সাল শুরু করবেন বাসিন্দারা। নতুন বছরে এটি অস্ট্রেলিয়ার বড় সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন সবাই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির আদিবাসীদের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরতে এটা করা হয়েছে। এই আদিবাসীরা বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার স্বীকৃতি পেয়েছে। তারা সেই প্রাচীন কাল থেকে এখনো তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। তাই এখন থেকে অস্ট্রেলিয়াকে আর ‘নবীন এবং মুক্ত’ উল্লেখ করা হবে না। বরং থাকবে অস্ট্রেলিয়া ‘এক এবং মুক্ত’। জাতীয় সঙ্গীতের এমন পরিবর্তনে দেশটির নাগরিকরা অনেকটা অবাক হয়েছেন তবে এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে তারা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মরিসন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা প্রাচীনকালের প্রথম জাতিগুলোর একটি। আমদের এ দেশে নিরবচ্ছিন্ন প্রায় ৩০০ টিরও বেশি ভাষা ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী রয়েছে। আমাদের জাতীয় সংগীতে এটি প্রতিফলিত করা উচিৎ। এতে দেশের মধ্যে ঐক্যের চেতনা আরো সুদৃঢ় হবে।
জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনার প্রসঙ্গটি প্রথম তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের নেতা গ্ল্যাডিজ বেরেজিকলাইন। গত বছরের শুরুতে সংসদে জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে তিনি বলেছিলেন, বর্তমান জাতীয় সংগীতের কথায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জাতির সংস্কৃতির গর্বের কথা ফুটে ওঠেনি।
প্রসঙ্গত, ১৮ শতকে শ্বেতাঙ্গ ইংরেজদের উপনিবেশ গড়ে ওঠার কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়াতে জনগণের বসবাস ছিল। ব্রিটিশ সেটেলাররা অস্ট্রেলিয়ায় কলোনি গড়ার আগে এটি ছিল লাখ লাখ আদিবাসীর ভূখণ্ড। অথচ এতদিন ধরে দেশটির জাতীয় সংগীতে আদিবাসীর কথা ও ইতিহাস উপেক্ষিত ছিল।
সূত্রঃ somoynews.tv